সন্দীপ সরকার, কলকাতা: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকেন পক্স ও জলাতঙ্ক। স্বাস্থ্যভবনে বেলেঘাটা আইডির রিপোর্টে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র বেলেঘাটা আইডিতেই গত ৩ মাসে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে ভর্তির সংখ্যা ৬০। ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এরমধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ডিসেম্বরে। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে জানুয়ারিতে। মৃতদের বেশিরভাগই বয়স্ক। নেপথ্যে ভ্যারিসেলা জস্টার ভাইরাস।                             


রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ: স্বাস্থ্যভবন (Swasthabhawan) সূত্রে খবর, প্রচণ্ড সংক্রামক এই রোগে আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় স্বাস্থ্য ভবন। শুক্রবার সেই রিপোর্ট পাঠিয়েছে বেলেঘাটা আইডি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভর্তি হওয়ার ৪-৭ দিনের মধ্যেই মৃত্যু হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়, “সতর্ক থাকতে হবে। প্রচন্ড সংক্রামক।’’                                         


চিকেন পক্সের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জলাতঙ্ক। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, গত ৫ বছরে শুধুমাত্র বেলেঘাটা আইডিতেই জলাতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জন রোগীর। এবং উদ্বেগজনক বিষয় হল, মৃত্যু হার ১০০ শতাংশ। স্বাস্থ্যভবনকে দেওয়া বেলেঘাটা আইডির রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়। ২০১৯-এ ৩৭-জন আক্রান্ত রোগীরই মৃত্যু হয়। ২০২০-তেও একই ঘটনা। ভর্তি হওয়া ২১ জন রোগীর প্রত্যেকের মৃত্যু হয়। ২০২১-এ ১৮ জন ভর্তি হয়েছিলেন, তার মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২২ সালে ভর্তি হওয়া ২৪জন রোগীর মধ্যে ২৩জনই মারা যান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাতঙ্ক হলে মৃত্যু অনিবার্য। তবে পশু কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নিলে বিপদ এড়ানো যায়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দলুই বলেন, “হলে ১০০ শতাংশ মৃত্যু। অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন সব জায়গায় থাকার কথা। দেখতে হবে জেলায় জেলায় পর্যাপ্ত আছে কি না, মানুষ ঢিলেমি করছে কিনা।’’ সংক্রামক রোগের চিকিত্‍সায় উত্‍কর্ষ কেন্দ্র বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সেখানে এই পরিসংখ্যান রীতিমতো অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন: North Dinajpur: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘরে তালা, এক চিলতে বারান্দায় ঠাঁই পড়ুয়াদের