সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নাবালিকার (Minor) সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে। মামলা দায়েরের জন্যই অভিযোগ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। হুগলিতে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৬ সালের ঘটনায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 


৭ বছর আগে হুগলিতে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থার অভিযোগের মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পকসো আইনে মামলা দায়েরের জন্যই অভিযোগ অতিরঞ্জিত করেছেন নাবালিকার বাবা-মা। পরিবারের দাবি,২০১৬ সালে হুগলির ওই নাবালিকা টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় সাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থা করে ওই যুবক। 


গত বছর এই মামলায় অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদলত। ৩ বছরের জেল হেফাজত ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন যুবক।  এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে। এ ছাড়াও, নাবালিকা ও তাঁর পরিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও সম্মতি দেয়নি। ঘটনার ৭ বছর পর মঙ্গলবার অভিযুক্ত যুবককে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 


৫ বছর ধরে লড়াইয়ের পর মিলল বিচার: উল্লেখ্য, শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের চার বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় স্কুলেরই দুই শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে গত মার্চে। রায় ঘোষণা করল আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত। রায়ে খুশি ছাত্রীর পরিবার।


রায় ঘোষণা করল আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত: ৫ বছর ধরে লড়াই করার পর মিলল বিচার। দোষীদের শাস্তি ঘোষণা হল শুক্রবার।শহরের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে চার বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় স্কুলেরই দুই শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন বিচারক। সেই সঙ্গে দু’জনকেই দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা।জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাবাসে থাকতে হবে তাঁদের। কারাদণ্ড, জরিমানা ছাড়াও বিচারকের নির্দেশ, সরকারের পক্ষ থেকে শিশুর পরিবারকে দিতে হবে ৫ লক্ষ টাকা।


২০১৭-র ৩০ নভেম্বর শহরের ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচাগারে ৪ বছরের পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন রাতেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে শিশুর পরিবার। ১ ডিসেম্বর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে।স্কুলের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। ওইদিনই অভিযুক্ত দুই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। ঘটনার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত বুধবার স্কুলেরই দুই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুরের পকসো আদালত।এদিন হল সাজা ঘোষণা।