সামনেই নেতাই হত্য়াকাণ্ডের বর্ষপূর্তি। শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চান শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই পুলিশি হয়রানি এড়াতে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সে ক্ষেত্রে আরও কতগুলি শর্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। গত ২ জানুয়ারি আদালতে দ্বারস্থ হন শুভেনদু অধিকারী। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 


আদালত জানায়, ৭ জানুয়ারি বিকেল ৫-সন্ধে ৬টার মধ্যে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বিরোধী দলনেতা। নিরাপত্তারক্ষী-সহ সীমিত লোক নিয়েই যেতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। হাইকোর্টের নির্দেশ,  বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শেষ করতে হবে নেতাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির অনুষ্ঠান,। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত গোটা অনুষ্ঠানের ভিডিওগ্রাফির করারও নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, '১২ বছর ধরে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে, আগে শুভেন্দুকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হত। দলবদলের পর তাঁর ওপর আগ্রহ হারিয়েছে আয়োজক কমিটি। যদিও শুভেন্দু সেখানে যেতে আগ্রহী।'


২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সিপিএম কর্মী রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে ছোড়া গুলিতে মারা গিয়েছিলেন ৯ জন গ্রামবাসী৷ আহত হন অন্তত ২৮ জন৷  প্রতিবছর এই দিনে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। তৃণমূলে থাকাকালীন, প্রতিবছর ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে যেতেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরও তিনি ২০২১ সালে সেখানে যান তিনি। কিন্তু, ২০২২ সালে নেতাই যাওয়ার পথে, লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলের কাছে পুলিশি বাধার অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতেই এবার আগাম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।  


এর আগে, অন্য একটি মামলায়, বিরোধী দলনেতার রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার অধিকার আছে বলে আশ্বস্ত করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।   তারপরও ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। যে মামলার প্রেক্ষিতে, ৩০ জুন, ২০২২ রাজ্য পুলিশের ডিজি, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।  ওই বছর ২৮ জুলাই আদালতে হাজিরাও দেন ডিজি-সহ অন্য পুলিশ আধিকারিক। পরে সেই মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তাই  এবার নেতাইয়ে শহিদ দিবসের আগেই আদালতের অনুমতির জন্য দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। 


আরও পড়ুন :


ভারতীয় জাদুঘর বোমায় উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি