গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইলিশের (Hilsa Fish) মরসুম শুরু হলেও দামের নিরিখে আমজনতার ধরা ছোঁয়ার বাইরে বাঙালির প্রিয় মাছ। তবে এবার হয়ত কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। এমনই আশার খবর শোনা গেল।


ভরা শ্রাবণে সাগরে বৃষ্টি বাড়তেই মৎস্যজীবীদের জালে টন টন ইলিশ উঠতে শুরু করেছে। গত দু’দিনে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমার ঘাটে পৌঁছেছে প্রায় ১২টন টাটকা ইলিশ। আগামী দু’‌দিন আরও ইলিশ ঢুকবে ঘাটগুলিতে, এমনটাই খবর।                                  


সমুদ্রে এই মুহূর্তে ইলিশ ধরার অনুকুল পরিবেশ তৈরির পরই জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপোলি শস্য। ধরা পড়া ইলিশের ওজনও বেশ ভাল। বেশীরভাগ ইলিশ সাত’শ গ্রামের ওপরে বলে জানা যাচ্ছে। এদিন নামখানাতে দেড় কিলো ওজনের ইলিশও নিলাম হয়েছে। ইলিশের জোগান বাড়ায় দামও কমেছে বেশ কিছুটা। ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবারের মাছের আড়ত ঘুরে পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে।


বর্ষার মরসুমে ইলিশ মেলায় খুশি ট্রলার মালিক, মৎস্যজীবী থেকে সাধারণ ক্রেতারা। চলতি বছরে ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ইলিশ ধরার মরসুম। বৃষ্টির ঘাটতির জন্য সমুদ্রে গিয়েও কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক হাজার ট্রলারকে। এরপর গত ১৫ দিন ধরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বারে বারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর সমুদ্র পাড়ি দেয় মৎস্যজীবীরা। 


আরও পড়ুন, শক্তিশালী নিম্নচাপে আবহাওয়ায় তুমুল বদল, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা


বৃষ্টি শুরু হয় সাগরে সঙ্গে পুবালী বাতাস। অনুকুল পরিবেশ তৈরী হতেই জালে পড়তে শুরু করে ঝাঁকে ঝাকে ইলিশ। সেই ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে মৎস্যজীবী ট্রলারগুলি। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন,‘ ইলিশের ঝাঁক এবার উজানমুখী। নদী, খাঁড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছে। ভাসা জলেই মিলছে ইলিশ। এটা মৎস্যজীবীদের কাছে সুখবর। গত দু’ দিনে ১২ টন ইলিশ পড়েছে। আরও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে খবর মিলেছে। আমরা আশাবাদী ইলিশের খরা কাটতে চলেছে। জোগান বাড়লে দামও কমবে অনেকটা। সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে ইলিশ।’‌


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে