খড়গপুর : পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayet Poll ) আগে কি দলের দরজা খুলে দিল তৃণমূল ( TMC ) ? ফের ভাঙন ধরতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে? কিছুদেন আগে ভাইরাল হওয়া এই একটি ছবি ঘিরে প্রশ্নের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। সেই ছবিতে জোড়াফুলের ব্যানারের সামনে যাঁদের বসে থাকতে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে একজন খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ( Hiran Chatterjee ) । পাশে বসে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি। সূত্রের দাবি ছিল, এই ছবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Abhishek Banerjee ) অফিসের। তারপর থেকেই শাসক ও বিরোধী শিবিরেই গুঞ্জন ওঠে হিরণের দল বদল সম্ভাবনা নিয়ে।
বিজেপির এই আশঙ্কা উড়িয়েই হিরণ সাংবাদিক বৈঠক করে পরিষ্কার করে দেন তিনি বিজেপিতেই থাকছেন। উল্টে তৃণমূল শিবিরের একর পর এক নেতার নাম করে, না-করে তিনি আক্রমণ করেন। তাঁর কথায় উঠে আসে দেব-প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, এনামুলের থেকে টাকা নিয়েছেন দেব, সেই মামলায় ইডি-সিবিআই তদন্ত করছে'।
গত বছর দেবকে নিজাম প্যালেসে প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। দেব দাবি করেছিলেন, এনামুল হককে তিনি চেনেনই না! অন্যদিকে, ইডি সূত্রে খবর, গত বছরেরই জুন মাসে, দেবকে দিল্লিতে তাদের সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিন তা নিয়েই বিস্ফোরক খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন :
'AI এর যুগ, যা খুশি বানানো যায়, RRR দেখেননি?', দলবদলের জল্পনা ওড়ালেন হিরণ
তিনি আরও বলেন, দেবের অপরাধ যদি প্রমাণ হয়, তিনি যদি জেলে যান তাহলে তাঁর চিন্তা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে। হিরণের কথায় , 'মিঠুনদা দেবের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ওই প্রোডিউসারের ব্যানারে তিনি কাজ করে ফেললেন। এবার দেব যদি দোষী সাব্যস্ত হন অথবা জেলে যান...তাহলে মিঠুনদাকে আবার টাকা ফেরত দিতে হবে। মিঠুনদা যেহেতু প্রজাপতিতে অভিনয় করেছেন, ...পারিশ্রমিক নিলে ইডি-সিবিআইকে টাকা ফেরত দিতে হবে' দেব-মিঠুন নিয়ে বিস্ফোরক বক্তব্য পেশ করেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, '২০১৪ থেকে ২০২১ অবধি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ২০২১-এর পর তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগ, যা খুশি বানানো যায়, আরআরআর সিনেমা দেখেননি?' ভাইরাল ছবি বিতর্কে জবাব হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুক্রবার, নিজাম প্যালেসে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ। মিনিট পনেরো দু-জনের মধ্যে কথা হয়। যদিও, এ নিয়ে হিরণ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।