মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান): সম্প্রতি যেন 'আতঙ্ক'-এর অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গাপুরের সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা। মাস খানেক আগে এক জনের মৃত্যু হয় সেখানে, একইসঙ্গে আক্রান্ত হন আরও বেশ কয়েকজন। ফের সেই একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কী সেই সমস্যা? মৌমাছি (Honey Bee)। হ্যাঁ, মৌমাছির কামড়েই আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক গ্রামবাসী।


মৌমাছির কামড়ে শুক্রবার আক্রান্ত হন এক প্রৌঢ় সহ আরও এক-দুই জন। ওই একই জায়গার ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের। উদ্যোগ নেন স্থানীয়রাই। দুর্গাপুরের সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশে প্রতিনিয়ত মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। শুক্রবার সকালে ফুলঝোর এলাকা থেকে পাশের এক কলোনি এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজে যাচ্ছিলেন বৈদ্যনাথ রায় নামে ওই প্রৌঢ়। সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় আচমকা এক ঝাঁক মৌমাছি ওই প্রৌঢ়কে ছেঁকে ধরে। তাঁর গোটা শরীরে মৌমাছিগুলি বিঁধে ধরে কানের ভেতর পর্যন্ত ঢুকে যায়। এর ফলে ওই স্থানেই পড়ে যান বৃদ্ধ। এরপর তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে পাশের ক্লাবে নিয়ে যান। পরে তারাই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে বৃদ্ধকে। 


আরও পড়ুন: West Midnapore: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রত্যেক দিন যদি এভাবে মৌমাছির দাপট বাড়তে থাকে তাহলে এরপর তাঁদের পক্ষে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে? তাছাড়া বাচ্চারাই বা স্কুলে যাবে কী করে? সব মিলিয়ে এখন রীতিমতো আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গাপুরের সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশের ওই রাস্তা। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁইয়ের কথায়, 'পুরসভাকে জানানো হয়েছে। কিছু ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে তারা।' পাশাপাশি বন দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে তাঁদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষিত কর্মী বা পরিকাঠামো নেই। ফলে আপাতত আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।