সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: যতদিন যাচ্ছে, তত খুলছে জট। প্রথমে যে মৃত্যুকে দুর্ঘটনা ভাবা হয়েছিল। তদন্তে বেরিয়ে আসে সেটা খুন। কারণ সম্পত্তি (property)। সম্পত্তির লোভে সুপারি কিলার দিয়ে দাদাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছোট ভাইকে। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এক স্থানীয় সমাজবিরোধী। এবার ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মৃতের ভগ্নিপতিকেও।
কী ঘটনা:
ঘটনাটা শ্রীরামপুরের (Sreerampore)। গত বুধবার রাজ্যধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়া এলাকায় গৌতম দাস নামে এক ব্যক্তির দেহ পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। প্রথমে এটি জলে ডুবে মৃত্যু মনে হলেও পরে মৃতদেহের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। কিছু তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে যে এটা দুর্ঘটনা নয়, খুনের ঘটনা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগের পুলিশ গ্রেফতার করা মৃতের ছোট ভাই (Brother) উজ্জ্বস দাসকে। গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় দুষ্কৃতী কৃষ্ণকেও।
কিন্তু কেন খুন?
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের টানা জেরা করতেই বেরিয়ে আসে খুনের আসল মোটিভ। দাস পরিবারের বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে দিল্লি রোডের পাশে। এই পরিবারে পাঁচ ভাই ও এক বোন। একমাত্র উজ্জ্বল বিবাহিত এবং বোনের বিয়ে হয়েছে। এক ভাই মারা গিয়েছেন। এক ভাই অসুস্থ। সেই কারণে জমির দখল হাতে পেতে সুপারি কিলার দিয়ে দাদা গৌতম দাসকে খুন করে ভাই উজ্জ্বল দাস। ওই ঘটনায় ভগ্নিপতি (Brother in Law) বিজয় মন্ডলও জড়িত বলে সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের। শনিবার থেকে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছিল। গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আজ ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার:
বিজয় মন্ডলের স্ত্রী এবং নিহত গৌতম দাসের বোন আশাপূর্ণা মন্ডল মনে করেন তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।এই ঘটনায় তিনি যুক্ত থাকতে পারেন না।
আরও পড়ুন: জমি বিবাদের জের, লাঠির ঘায়ে মৃত্যু ব্যক্তির