রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের জমি বিবাদে রক্ত ঝরল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায়। এর আগে ওদলাবাড়ি। এবার ধূপগুড়ি (Dhupguri)। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা-মারপিট। বিবাদের ঘটনায় ঘটেছে প্রাণহানিও। মারা গিয়েছেন এক জন। ওই ঘটনায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন তিন জন। বিবাদ ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝাড়শালবাড়ি এলাকায়। মৃতের নাম গোবিন্দ মন্ডল, বয়স ৫৭ বছর।
কী নিয়ে গোলমাল:
পড়শিদের সূত্রে খবর, জমি (land) সংক্রান্ত বিষয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যা চলছিল। শনিবার বিকেলে ফের শুরু হয় ঝামেলা। সেই বিবাদ চরম আকার নেয়। সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই ঝাড়শালবাড়ির বাসিন্দা গোবিন্দ মন্ডল ও তাঁর শ্যালকের পরিবারের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। শনিবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, শনিবার বিকেল নাগাদ বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। ওই সময় লাঠি, রড, কোদাল নিয়ে গোবিন্দ মন্ডলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর শ্যালক, শ্যালিকা ও শাশুড়ি। উল্টোদিকে গোবিন্দ মন্ডলকে বাঁচাতে ছুটে যায় তাঁর দুই ছেলে উত্তম মন্ডল ও গৌতম মন্ডল। ততক্ষণে লাঠির আঘাতে লুটিয়ে পড়েছেন গোবিন্দ মন্ডল। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে। রাতে সেখানেই গোবিন্দ মন্ডলের মৃত্যু হয়।
পাকড়াও তিন:
পুলিশ সূত্রের খবর, মারপিটের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম প্রদীপ সরকার, গঙ্গা রায় এবং সুজিত সরকার।
পুলিশি তৎপরতা:
ঝামেলার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শনিবার গভীর রাতেই গোবিন্দ মন্ডলের বাড়িতে যান ডিএসপি (DSP) ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামা, ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা-সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। ঘটনার পর থেকে এলাকা থমথমে। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের মধ্যে অভিযান চালাচ্ছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: "আমরা নাকি চোর, ওরা বড় বড় ডাকাত", বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ চন্দ্রনাথের