নয়াদিল্লি: সাম্প্রতিক কালে অনেকেই নানাভাবে মানসিক সমস্যা, অবসাদের (Depression) শিকার। দৈনন্দিন জীবন, জীবনযাত্রার চাপ, স্ট্রেস-সবকিছু মিলিয়েই চাপ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে জীবনযাত্রা বা লাইফস্টাইল (Lifestyle). অবসাদের শিকার হওয়া স্বাভাবিক হিসেবেই দেখতে হবে। অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টাও করতে হবে। চিকিৎসকের (Doctor) সঙ্গে পরামর্শ করা সবচেয়ে বেশি উপকারী। তবে তার আগে তৈরি করতে হবে নিজেকে। বেশ কিছু দিকে নজর রেখে দেখা যেতে পারে। 


রুটিনে বদল:
প্রতিদিনের একই রুটিনের (Routine) কারণে একঘেয়েমি আসতে পারে। মোটিভেশন না থাকা, সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া অবসাদের প্রাথমিক উপসর্গ। প্রয়োজনে প্রতিদিনের রুটিন বদলান। কিছু কিছু বদল এনে দেখুন।


লিখে রাখুন ভাল কথা:
ভাল কথা, সুখস্মৃতি মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। অনেকের ডায়েরি লেখার অভ্যায় থাকে। এবার একটা নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। নাম--gratitude journaling. এর অর্থ ভাল কথা লিখে রাখা। যাঁর জন্য় আপনার মন ভাল হয়েছে, সুখস্মৃতি রয়েছে। তা লিখে রাখুন।


ঘুম:
বিশ্রামের থেকেও অনেক বেশি মূল্যবান ঘুম (Sleep)। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে শরীর ঠিক রাখতে। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চালাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকাও উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


পাতে ভাল খাবার:
পোষকপদার্থ সমৃদ্ধ খাবার পাতে রাখা প্রয়োজন। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (B12) এবং ওমেগা থ্রি (Omega 3) সমৃদ্ধ খাবার জায়েটে রাখতে হবে। মূলত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি পোষক পদার্থ রয়েছে এমন খাবার রাখতে হবে।


শরীরচর্চা:
জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল সাইক্রিয়াট্রি (Journal of Clinical Psychiatry)-অনুযায়ী শরীরচর্চার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে অবসাদ-উদ্বেগ কমায়। সামাজিক ভাবে মেলামেশার আগ্রহও তৈরি করে।    


পজিটিভ চিন্তা:
কাজে বা ব্যক্তিগত জীবনে কমবেশি সমস্যা সবারই থাকে। কোনওসময় কোনও সমস্যায় পড়লে, সেটাকে কাটিয়ে ওটার চেষ্টা করতেই হবে। তার সঙ্গেই সবসময় পজিটিভ চিন্তা করা উচিত। হাল ছেড়ে দিলে, কোনও ব্যর্থতা নিয়ে সবসময় ভাবলে অবসাদ গ্রাস করতে পারে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।