সোমনাথ মিত্র, হুগলি : ফের একবার গ্যাস লিকের ঘটনা। এবার হুগলিতে (Hooghly)। হিমঘর থেকে লিক করে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস (Amonea Gas Leak)। তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে ভরে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল গ্যাসের তীব্রতা। ধনিয়াখালির দশঘড়া এলাকায় যে ঘটনায় তৈরি হয় তীব্র আতঙ্ক। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধনিয়াখালি থানার পুলিশ (Dhanikhali Police Station) ও দমকল বাহিনী। হিমঘরটি যে এলাকায় সেখানকার স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দাকে এলাকা থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার দোলের দিন সন্ধেবেলায় ঘটনাটি ঘটে। ধনিয়াখালির দশঘড়া এলাকার স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজ তথা হিমঘর থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রবলভাবে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তীব্র ঝাঁঝালো এক গন্ধ পেয়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই এলাকা দিয়ে হাঁটাচলার করার মাঝে তীব্র গন্ধের জেরে শ্বাসকষ্টও অনুভব করেন। গ্যাস লিক করার ঘটনা জানানোর পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল ও ধনিয়াখালি থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই হিমঘর থেকে এভাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে। যদিও কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হিমঘর থেকে গ্যাস লিক করায় ও তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার জেরে স্থানীয়দের মধ্যে কাজ করছে এক আতঙ্কের আবহ। স্থানীয় দশঘড়া দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় আইরি জানিয়েছেন, কিছু মানুষ কে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে স্থানীয় দশঘড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছল ইডি, স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর রাতেই আদালতে পেশ
প্রসঙ্গত, গত বছর হিমঘর থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে এক মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল হুগলির মুক্তারপুরে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি করেছিল, তাদের কোনও গাফিলতি নেই। একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। বাসিন্দাদের দাবি ছিল, অ্যামোনিয়া গ্যাসে সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের পর এলাকা ঢেকে যায় ধোঁয়া ও ঝাঁঝাল গন্ধে। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। ঘটনার পরের দিন এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছিল, ঝলসে গিয়েছে হিমঘর লাগোয়া গাছপালা।