সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বলাগড়: বাজারে শশার দাম আগুন। অথচ উৎসবের মরসুমে হাতখালি তাঁদের। তাতে প্রতিবাদে নামলেন হুগলির কৃষকরা (Hooghly News)। নামমাত্র দামে জমি থেকে শশা তুলে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁদের (Farmer's Protest)। এমন চললে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না বলে জানালেন। প্রতিবাদ জানাতে তাই জমির ফসল তুলে গরুকে খাওয়ালেন তাঁরা (Cucumber Price)। 


নামমাত্র দামে বিক্রি করতে হচ্ছে শশা, গরুকে খাইয়ে প্রতিবাদ কৃষকদের


লক্ষ্মীপুজোর বাজারেও ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে শশা কিনেছেন সাধারণ মানুষ। পুজোর পরেও শশা কিনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু বাজারে দাম আগুন হলেও, জমি থেকে শশা তুলে ৩ থেকে ৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করেছেন তাঁরা দাবি, বলাগড়ের কৃষকদের (Balagarh News)। তাঁদের দাবি, এতে চাষের খরচই কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা। তাতেই বিক্ষোভে নামলেন সকলে।


বলাগড়ের এক্তারপুর এলাকার মাজদিয়াতে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল। শশা এনে রাস্তায় ছড়িয়ে দিলেন কৃষকরা। গরু ছেড়ে দিয়ে সেই শশা খাওয়ালেন। কৃষকদের দাবি, নামমাত্র দামে শশা বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের। ন্যায্য দামই পাচ্ছেন না। এমন চলতে থাকলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না। কারণ সারের দাম আকাশছোঁয়া। চাষের খরচ যা, শশা বিক্রিতে তা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা। প্রচুর টাকার ক্ষতি হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: SSC Scam: মুখ্যমন্ত্রী আইনের ঊর্ধ্বে নন, নবান্নে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, মন্তব্য শুভেন্দুর


কৃষকদের ন্যায্য দাম পাওয়ার জন্য যদিও শশার অতিরিক্ত ফলনকেই দায়ী করছে কৃষি দফতর। বলাগড় ব্লকের এডিও সোমনাথ পাল অন্তত তেমনই জানিয়েছেন। তবে অতিরিক্ত ফলনের ভাল দিকও দেখছেন তিনি। তাঁর মতে, উৎপাদন ২-৩ গুণ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত দাম কম মিলছে। তবে আগে হেক্টর প্রতি যে দাম হতো, ফলন বেশি হওয়ায় এখন তার ৩ গুণ বেশি দাম পাবেন কৃষকরা। 


অতিরিক্ত ফলনকেই দায়ী করছে কৃষি দফতর


সোমনাথবাবু জানিয়েছেন, আগে যে জমিতে ৫০ কুইন্টাল শশা উৎপাদন করা যেত, এ বছর  সেই একই জমিতে ১৫০ কুইন্টাল শশা ফলেছে। ফলে  বেশি দামের ৫০ কুইটন্টালের বিক্রমূল্য, আর কম দামের ১৫০ কুইন্টালের বিক্রমূল্য প্রায় সমান সমানই হবে বলে মনে করছে কৃষি দফতর।