সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: নতুন বছরেও রাজনৈতিক অশান্তিতে বিরাম নেই (Bandel News)। এ বার তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর (TMC Party Office Ransacked) চালানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ব্যান্ডেলে। সেখানে গিয়ে বিজেপি-র (BJP) দলীয় কার্যালয় ভাঙার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল তৃণমূল বিধায়ককে। তার পাল্টা বিজেপি-র তরফেও পাল্টা হুঁশিয়ারি ছুড়ে দেওয়া হয় তৃণমূলকে। এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম এলাকা।
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা
ব্যান্ডেলের বালিকাটা এলাকার ঘটনা। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই তাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ সামনে এল। এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের জানলার কাচ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে রয়েছে। ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে চেয়ারও। বিজেপি-র লোকজনই ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
খবর পেয়ে রবিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার (Asit Majumdar)। সেখান থেকেই বিজেপি-র উদ্দেশে হুঁশিয়ারি ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, "চুঁচুড়া বিধানসভায় বিজেপি-র যত দলীয় কার্যালয় রয়েছে, চাইলে ১৫ মিনিটের মধ্যে সব বন্ধ করে দিতে পারি।" এর পাল্টা বিজেপি জানায়, তৃণমূলকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছে তারা। এর মধ্যে দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে দেখাক শাসকদল।
এ দিন সিপিএম এবং বিজেপি, দুই দলকেই তীব্র কটাক্ষ করেন অসিত। বলেন, "যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, সেই সিপিএম-কে মানুষ বাংলা থেকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আর এই উচ্চিংড়ে একটি দল, সাম্প্রদায়িক দল, তারা এ সব করছে। আমি দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, বিরোধীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। তাঁদের কাজ করার সুযোগ দিচ্ছি। ওঁদের লোকজন নেই। তাই অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে।"
সিপিএম এবং বিজেপি, দুই দলকেই তীব্র কটাক্ষ করেন অসিত
এর পাল্টা হুগলি জেলায় বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, "১৫ মিনিট নয়, বিধায়ককে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। একটি কার্যালয়ও বন্ধ করে দেখান উনি।" তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর নিয়ে প্রশ্ন করলে সুরেশ জানান, ইচ্ছা করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কে টিকিট পাবে, কে পাবে না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।"
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সুরজ সামি নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ব্য়ান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে ভাঙচুর চালানো হয়নি। গতকাল গভীর রাতে বর্ষবরণ পালন করে মত্ত অবস্থায় বচসা বাধে দুই যুবকের মধ্যে। তাঁরাই এি কাণ্ড ঘটান।