সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : হুগলির (Hooghly) বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপি (BJP) নেতার বাবাকে মারধর ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারার অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী ও তাঁর স্ত্রী-সহ ৪। হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তদের নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের টানাপোড়েন। তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরকে ঘিরে বিজেপির বিক্ষোভ। অকারণে রাজনীতি করার পাল্টা অভিযোগ শাসকদলের।


কলে জল নেওয়া ঘিরে তুলকালাম


কল থেকে জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে সামান্য ঝগড়া থেকে তুলকালাম কাণ্ড হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় (Banshberia)। বিজেপি নেতার বাবাকে মারধর ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারার অভিযোগে এবার গ্রেফতার (Arrested) অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে। বাঁশবেড়িয়া পুর এলাকার ঘটনা।


ঠিক কী অভিযোগ


অভিযোগ, শনিবার বিকেলে পুরসভার কল থেকে জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা ও প্রতিবেশী রাখাল দাসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান স্থানীয় বিজেপি নেতা। সেই সময়ই বিজেপি নেতার বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। 


আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা বলেন, আমার বাবা বিজেপি করে বলে তাই ঝামেলা। আজকে ঝামেলা করতে করতে দাদুকেও মেরেছে, আমি ছুটে এসে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম বলে আমার পেটে লাথি মেরেছে। হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি নেতার মেয়ে। বৃদ্ধের মাথায় ৯টি সেলাই পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এখনও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বিজেপি নেতার বাবা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে।


বিজেপির বিক্ষোভ


রবিবার আক্রান্তদের দেখতে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে যান স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর। প্রভাব খাটিয়ে আক্রান্তদের ছাড়াতে এসেছেন বলে দাবি করে কাউন্সিলরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল কাউন্সিলর।


বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেছেন, 'তৃণমূল বাঁচার জন্য পারিবারিক বিবাদ বলছে। পঞ্চায়েত ভোটে কীভাবে সন্ত্রাস চালাবে সেটা বোঝাতেই এই ঘটনা'। বাঁশবেড়িয়ার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, কল নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ অনেক দিনের। আজকে ঝামেলার সময় তৃণমূল নেতা এসে বুথ সভাপতির উপর চড়াও হয়। মারধর করে। আসলে তৃণমূলে এই ব্যাপারটা আছে যে যত বেশি মারধর করবে, সে তত উঁচু পোস্টে যাবে। পাল্টা তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেছেন, 'পাড়ার বিবাদ। বিজেপি সবেতে রাজনীতি খুঁজছে'। 


আরও পড়ুন- উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ভয়ঙ্কর ডেঙ্গি, মেয়রের ওয়ার্ডেই আক্রান্ত ১১১