পাণ্ডুয়া : SIR-এর প্রবল চাপ। কেঁদে ভাসালেন পাণ্ডুয়ার BLO ! সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল BLO-র কান্নার সেই ভিডিও। SIR-এর কাজে দেরি হওয়ায় ব্লক অফিসে ডেকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি ফিরে ভেঙে পড়েন BLO তথা স্কুল শিক্ষিকা সুমিতা মুখোপাধ্যায়। কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "আমি আর পারছি না।"
BLO-র দাবি, শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও SIR-এর কাজ করছি। ৩০০ জনের নাম অনলাইনে আপডেটও করেছি। তারপরেও ব্লক অফিসে ডেকে ওখানে অনলাইনে এন্ট্রির করতে বলা হয়। সেখানে সার্ভার সমস্যার কারণে কাজ করতে পারিনি। কাউকে বলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। এদিকে কমিশনে সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যাঁদের পারফরম্যান্স কম তাঁদের টেকনিক্যাল সহায়তার জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে। সার্ভার ডাউন থাকায় ওই BLO-কে একটু অপেক্ষা করতে হয়েছে। হয়তো সেই থেকে সংশ্লিষ্ট BLO-র ক্ষোভ। অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
এদিকে, মালবাজারের পর এবার নদিয়ায় কাজের চাপে এক BLO-র অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে পরিবার। পরিবারের দাবি, কাজের চাপেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন রিঙকু তরফদার নামে ওই বুথ লেভেল অফিসার। এমনকী পরিবারের আরও দাবি, দেহের পাশে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। যাতে লেখা রয়েছে, এই অমানসিক কাজের চাপ আমি নিতে পারছি না। আমার এই পরিণতির জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। যা ঘিরে তুমুল তরজা শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে। এই ইস্যুতে কমিশনকে আক্রমণ শানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
আরও এক BLO-র অস্বাভাবিক মৃত্যু। আবার উঠল কাজের চাপে আত্মহত্যার অভিযোগ। সামনে এল সুইসাইড নোট। এ রাজ্যের মেমারি থেকে মালবাজার। জেপিশাসিত রাজস্থান, গুজরাত বা বামশাসিত কেরল, একাধিক রাজ্যে যখন কাজের চাপে একের পর এক BLO-র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, তখন সেই তালিকাতেই জুড়ল নদিয়ার নাম। নাম রিঙকু তরফদার। বাড়ি কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলায়। স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের এই পার্শ্বশিক্ষকই চাপড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ২০১ নম্বর বুথের BLO-র দায়িত্বে ছিলেন। পরিবারের দাবি, শনিবার সকালে, নিজের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাশেই পড়েছিল সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, 'এই অমানসিক কাজের চাপ আমি নিতে পারছি না। আমার এই পরিণতির জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী।' পরিবারের তরফে যে সুইসাইড নোট সামনে আনা হয়েছে, তার একাংশে লেখা রয়েছে, 'আমি খুবই সাধারণ মানুষ। আমি একজন পার্শ্ব শিক্ষিকা। বেতন পরিশ্রমের তুলনায় খুবই কম। কিন্তু এরা আমাকে ছাড় দিল না। '