সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর: চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু (Hooghly Patient Death)। হাসপাতালের চারতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। মৃতের নাম প্রকাশচন্দ্র বায়েন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার পেট ব্যথা ও রক্ত বমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন পেশায় গাড়ি চালক বছর ৪৩-এর ওই রোগী। গতকাল ছুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অফিস ছুটি থাকায় গতকাল ছাড়া পাননি রোগী। আজ ভোররাতে হাসপাতালের ছাদে উঠে তিনি ঝাঁপ দেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার। হাসপাতালের সুপারের দাবি, মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন ওই রোগী। এক রোগিণীকে ছুরি মারার ভয় দেখিয়ে ছাদে উঠে তিনি ঝাঁপ দেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই হয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। নার্সদের টেবিল থেকে একটি কাঁচি নিয়ে অন্য রোগী ও নার্সদের আক্রমণ করতে উদ্যত হন। ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। নার্সিং স্টাফদের ঘরের ভিতর দিয়ে গিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে যান। তারপর সেখান থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করা হয়। অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর পর রাত তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয়।
রাতেই এই ঘটনার খবর দেওয়া রোগীর পরিবারকে। এদিন সকালে মৃতদের পরিবার হাসপাতালে আসেন। মৃতের পরিবারের তরফে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সকালেই হাসপাতালে চলে আসেন হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্ক মৌলি কর। হাসপাতাল সুপারকে নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। মৃতের স্ত্রী মিঠু বাইন বলেন, "হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয় তাড়াতাড়ি আসার জন্য। ছুরি কাঁচি নিয়ে ভয় দেখিয়েছে বলছে। এই প্রথম এমন করেছে। আমি আয়া রাখিনি।বাড়িতে আর পুরুষ কেউ নেই> তাই রাতে কেউ ছিল না। যে চলে গেছে তাঁকে আর ফিরে পাব না।'' মৃতের শ্যালক কবীর চৌধুরী বলেন, জামাইবাবু মদ খেতেন বেশি পরিমাণে।'' হাসপাতাল সুপার সন্তু ঘোষ বলেন, "তিনদিন আগে ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসা চলছিল। ক্রনিক অ্যালকহলিক রোগী ছিলেন। মদ না খেলে এইরকম আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। হাতে কাঁচি নিয়ে রোগীদের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে ছাদে ওঠে। হাসপাতালের পিছন দিকে লাফ দেয়। উদ্ধার করার পরও বেঁচে ছিল। নিরাপত্তারক্ষী নিচে থাকেন।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Tab Scam: 'জালিয়াতির মূল পাণ্ডা স্কুলেরই শিক্ষক ও কর্মীদের একাংশ' ট্যাব কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস