সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজ্যের একাধিক এলাকা। জলমগ্ন হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এদিকে এর মধ্যেই ধস নামল চুঁচুড়ায়। নাগাড়ে বৃষ্টিতে কোথাও তৈরি হয়েছিল গর্ত, কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছিল জল। এর মধ্যেই চুঁচুড়া মল্লিক ঘাটের কাছে ধস নামায় আতঙ্কে বাসিন্দারা। 


বুধবার থেকে ফের রাজ্যে হয়েছে ভারী বর্ষণ। এর জেরেই ধস নেমেছে রাস্তায় এমনটাই মত।  হুগলি, হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্লাবন পরিস্থিতি। বুধবার বিকেল থেকে বৃষ্টি হয়েছে হুগলির বিভিন্ন এলাকায়। হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড মল্লিক ঘাটের কাছে আচমকাই নামে ধস।


চুঁচুড়া থেকে বাঁশবেড়িয়া যাওয়ার রাস্তায় ধসের ফলে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। আরও বৃষ্টি হলে বাড়তে পারে ধস, এমনটাই মনে করছে এলাকাবাসী। গঙ্গা তীরবর্তী এই রাস্তার পাশে বাড়িঘর রয়েছে। ধসের কবলে সেই সব বাড়িঘরের ক্ষতি হতে পারে, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মনে। চুঁচুড়ায় মাটির তলা দিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা ছিল একটা সময়ে। বর্তমানে সেই ব্যবস্থা বন্ধ হলেও মাটির তলার নিকাশি নালা এখনও রয়েছে। আর ওই সব নালার কারণে এলাকায় ধস নেমেছে বলে মনে করছে প্রশাসন। এর আগে শহরের ডাফ স্কুলের সামনে হুগলি মহসিন কলেজের কাছেও ধস দেখা যায়।


তবে এখনও পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই জানান হয়েছে। মল্লিক ঘাটে রাস্তার পাশে ধস নেমে বড়সড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। সেই গর্তে জল ঢুকে ধস বাড়লে গঙ্গার পাড় ভেঙে ঘর বাড়ি নেমে যেতে পারে গঙ্গায় এমনই আশঙ্কায় এখন দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।


এদিকে, চুঁচুড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকা নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চৌধুরী পাড়া, নতুন গ্ৰাম, হালদারপাড়া, হাউস ‌ সাইড‌ কলোনী-সহ একাধিক এলাকায় ভাগীরথীর জল ঢুকতে শুরু করেছে।ফলে চিন্তায় রয়েছে ওই সমস্ত এলাকার সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের বড় বন্যা‌ দেখেনি হরিপুর অঞ্চলের গ্ৰামের মানুষেরা। ইতিমধ্যেই নৃসিংহপুর হাউস কলোনী থেকে চৌধুরীরপাড়ার রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছে। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে পরিস্থিতি।