কলকাতা : ভ্যাকসিন তরজা অব্যাহত। আজই ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফের চিঠি লিখেছেন। এর পর ফের নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একই ইস্যুতে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


তিনি বলেন, গুজরাত আমাদের থেকে অনেক ছোট রাজ্য। কিন্তু ওরা আমাদের দ্বিগুণ ভ্যাকসিন পেয়েছে। কেউ পেয়েছে বলে আপত্তি নেই। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্ণাটক অনেক বেশি পেয়েছে।  আমার তাতে কোনও আপত্তি নেই। সব রাজ্য পাক। কিন্তু, জনঘনত্ব অনুযায়ী বাংলা ভ্যাকসিন কম পেয়েছে। ৪০০ পাচ্ছে, কিন্তু লাইনে চলে আসছে ১০ হাজার লোক। কিন্তু, আমার হাতে ভ্যাকসিন না থাকলে, কেন্দ্র যদি আমায় ভ্যাকসিন না পাঠায় তাহলে কোথা থেকে দেব ? এই পরিস্থিতিতে আমি রাজ্যবাসীকেও অনুরোধ করব, আগে দেখে নেবেন, কোন এলাকায় কবে কত ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। যেরকম ভ্যাকসিন আমরা পাব, সেরকম পৌঁছে দেবে।    


তিনি আরও বলেন, গুজরাতে আমার অর্ধেক। সেখানে গুজরাতকে ভ্যাকসিন দিয়েছে ২ কোটি ২৮ লক্ষ।  আমাদের দিয়েছে মাত্র ১.৯৩ কোটি। গুজরাতে জনসংখ্যা ৪ কোটি, আমার এখানে ১১ কোটি। কর্ণাটকের জনসংখ্যা ৭ কোটি। আমাদের থেকে জনসংখ্যা ৪ কোটি কম। কিন্তু, ওরাও আমাদের থেকে ভ্যাকসিন পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশও আমাদের থেকে অনেক বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছে। সব রাজ্য পাক। আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, এক রাজ্যের সঙ্গে অপর রাজ্যের বৈষম্য করবেন না। দয়া করে, জনঘনত্ব ও কতটা গুরুতর সেই বিষয়টি দেখুন। আমরা চাই, কোভিড নিয়ন্ত্রণে আসুক। 


সম্প্রতি, দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও ভ্যাকসিন নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। বৈঠক সেরে বেরিয়ে মমতা বলেছিলেন, যে ভ্যাকসিন, ওষুধ পেয়েছি, আরও বেশি চাই। অন্য রাজ্য পাক। তাতে আপত্তি নেই। পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যা বেশি। সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।