সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে (Asit Mazumdar) বিজেপিতে নেওয়া যাবে না। চুঁচুড়ায় বিজেপি-র জেলা পার্টি অফিস ও বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে দেখা গিয়েছে এমনই বিতর্কিত পোস্টার। 'বিজেপি-র সৈনিক' নামে এই পোস্টার ঘিরে তুঙ্গে বাগ্‍যুদ্ধ (Hooghly News)।


তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাম করে পড়ল পোস্টার


রেল স্টেশন চত্বরে বিজেপি-র (BJP) জেলা পার্টি অফিসে, রাস্তা-ঘাটে, হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাম করে পড়ল এই পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে, 'অত্যাচারী-অহংকারী তৃণমূল MLA-কে বিজেপিতে নেওয়া চলবে না'। চুঁচুড়া স্টেশনে তৃণমূল বিধায়কের নাম করে পোস্টার পড়েছে। নিচে লেখা রয়েছে ‘আমরা বিজেপির সৈনিক’। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চুঁচুড়া (Chinsurah News) শহরের আনাচ-কানাচে এই পোস্টার ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা। তবে কি বিজেপির পথে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার? যদিও এই জল্পনার বাউন্সার বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক। পাল্টা ভাসিয়ে দিয়েছেন আর এক জল্পনা।


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari : বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জারি নোটিস ফেরাল পুলিশ, 'অযোগ্যতা' কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর


সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অসিত বলেন, "বিজেপি পাগল-ছাগলের দল। ওরা নিজেদের পার্টি অফিসে কিছু পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে। আমাকে কি পাগলা কুকুরে কামড়েছে যে বিজেপিতে যাব? আমি শুনেছি তো, লকেট আসছে। লকেট তৃণমূলে আসার জন্য এই সমস্ত কিছু আকাল মাকালদের দিয়ে এসব করাচ্ছে।"
 
কিন্তু তৃণমূল বিধায়কের নামে জল্পনাময় পোস্টার ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতে নির্বাচনের আগে কি চুঁচুড়ায় দলবদলের ইঙ্গিত? উঠছে প্রশ্ন। তা নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি বাগ্‍যুদ্ধও। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ওঁকে কোনও নম্বরই দেব না, ক’দিন বাদেই দেখবেন ওঁর ঘরে ইডি-সিবিআই আসছে।"


এ দিকে, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "বড় জাহাজ ছেড়ে কেউ ফুটো নৌকায় যায়? তৃণমূল বড় জাহাজ। আর লকেটের এই কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, ইডি-সিবিআইকে বিজেপি পরিচালনা করে।"


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলবদলের ইঙ্গিত!


বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এর আগে দলবদলের কার্যত হিড়িক পড়েছিল। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে এই পোস্টারেও কার্যত কি তারই ইঙ্গিত! এর নেপথ্যে কি কোনও রাজনৈতিক কৌশল? না কি অন্য কিছু? সবার নজর আপাতত হুগলি জেলার রাজনীতির দিকে।