পার্থপ্রতিম ঘোষ, হুগলি: দিন ক্ষণ ঘোষণা না হলেও, এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। তার আগে ফের অস্ত্র উদ্ধার হল রাজ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর এ বার হুগলি (Hooghly News)। বাংলার স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে উদ্ধার অস্ত্র। এই ঘটনায় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি অস্ত্রের বরাত দিয়েছিলেন, গ্রেফতার হয়েছে তাঁকেও।
এ বার হুগলির ডানকুনিতে উদ্ধার হল অস্ত্র
হুগলির ডানকুনির (Dankuni News) ঘটনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে ডানকুনি হাউজিং মোড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। তাতে মাশাদুল মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি রাইফেল।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। বিহারে পটনা থেকে অস্ত্র এনে মুর্শিদাবাদে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। পাচার চক্রে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে অস্ত্রের বরাত দেওয়া, ডোমকলের বাসিন্দা মিনারুল শেখকেও।
এর আগে, শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে।
সেবারও গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালানো হয়। শোনপুর বাজারে অস্ত্র বিক্রি করা হতে পারে বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই মতো যৌথ অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয় এক ব্যক্তিকে।
আরও পড়ুন: Naihati News: ভর সন্ধ্যায় নৈহাটির কাছে গুলি-বোমাবাজি, আহত দুই তৃণমূলকর্মী-সহ ৩
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি যদিও। তবে আগামী বছরের গোড়ার দিকে ভোটগ্রহণ হতে পারে। সেই নিয়ে তৎপরতা বেড়েছে সব স্তরে। আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেদার হিংসার অভিযোগ সামনে এসেছিল। তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্ক রাজ্য সরকারও।
কিন্তু গত কয়েক দিনে হিংসাত্মক ঘটনা বেড়ে চলেছে রাজ্যে। শনিবার ভর সন্ধেয় নৈহাটির কাছে শিবদাসপুরে গুলি এবং বোমাবাজি হয়। তাতে তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এক জনের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে, আরও দু'জন বোমায় আহত বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা
তার আগে, নরেন্দ্রপুরে নাবালকদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনা সামনে আসে। তাতে পাঁচ বালক গুরুতর জখম হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। একের পর এক এমন ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।