উত্তর ২৪ পরগনা: কাঁকিনাড়া, নরেন্দ্রপুরের পর রাজ্যে ফের বোমাবাজি। ভর সন্ধ্যায় নৈহাটির (Naihati) কাছে শিবদাসপুরে গুলি-বোমাবাজি। আহত ৩। নৈহাটির কাছে শিবদাসপুরের জনবহুল এলাকায় গুলি-বোমাবাজির জেরে ছড়াল উত্তেজনা। একজনের শরীরে ৩টি গুলি, আরও ২জন বোমায় আহত বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।


'বিরোধীদের হাত থাকতে পারে', আশঙ্কা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের


বাইকে করে ৪-৫জন দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে হামলা চালায়, দাবি স্থানীয়দের। গ্রামে একটি গণ্ডগোলের পাল্টা জবাব দিতে হামলা বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩জনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জেএনএম হাসপাতালে। গুলি-বোমায় আহত ৩জনের মধ্যে ২জন তৃণমূলকর্মী। 'বিরোধীদের হাত থাকতে পারে', আশঙ্কা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূল মানেই তো গুলি-বোমা, কী করছে পুলিশ? পাল্টা প্রশ্ন বিজেপির। কোথা থেকে আসছে এত গুলি-বোমা? প্রশ্ন তুলে আক্রমণে বিরোধীরা।


প্রসঙ্গত, নরেন্দ্রপুরকাণ্ডে সরব বাম-বিজেপি । মূলত, বোমা মজুত করতে দেখে ফেলায় নাবালকদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের এই ঘটনায় গুরুতর আহত জখম ৫ জন বালক। আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে। তবে অভিযুক্তরা কোথায় বোমাগুলি নিয়ে যাচ্ছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও কারা যুক্ত রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এবং বাম নেতা শমীক লাহিড়ি । তবে কী প্রতিক্রিয়া শাসকদলের ? মুখ খুললেন ফিরহাদও।


শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। এখানে যত সমাজ বিরোধী, তারা শাসকদলের ছাতার তলায় ঢুকে পড়েছে। তারা মনে করছে, পুলিশ তাঁদের উপর কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। সর্বত্র দেখা যাচ্ছে কি, যে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত হয়েছে ! পাশাপাশি,  বাম নেতা শমীক লাহিড়ি এদিন বলেন,  গোটা রাজ্য তো এখন দুষ্কৃতীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। গোটা রাজ্য তো চালাচ্ছে দুষ্কৃতিরা।  গোটা রাজ্যে তো এখন বন্দুক, বোমা পিস্তলের মজুতখানা হয়েছে।


আরও পড়ুন, ‘মানিক মুখ খুললে অনেক উইকেট পড়বে', সুকান্তর মুখে সেই ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’


প্রসঙ্গত, একটাসময় তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও বলেছিলেন, বারুদের স্তুপে পরিণত হয়েছে রাজ্য। একুশ থেকে বাইশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অসংখ্য বোমা ফেটে দুর্ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সে ভাটপাড়া হোক , কিংবা কাঁকিনাড়া। উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি বাদ যায়নি রাজ্যের অন্যান্য জেলাও। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কড়া নজর রাখছে  রাজ্য পুলিশ। একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বটেই। তবুও ফের নৈহাটির এই ঘটনায় তোলাপাড় রাজ্য-রাজনীতি।