সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: সরকারি অনুষ্ঠানে এসে পরিযায়ী পাখি (Migrant birds) দেখে মুগ্ধ হলেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য। বললেন, "আমরা যখন পরিবেশকে সম্মান করি তখনই এই ধরনের দৃশ্য চারিদিকে ধরা পড়ে।"


সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জাতীয় সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (solid waste management centre)। আজ সেখানেই বিশ্ব শৌচাগার দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিধায়ক করবী মান্না সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের চারিদিক ঘুরে দেখার সময় পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজে জেলাশাসকের  নজর যায় পাশের একটি ঝিলে। যেখানে শীতের শুরুতেই পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটেছে। ঝিল জুড়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে অতিথির । কিচিরমিচির আওয়াজে মুখরিত হচ্ছে আশেপাশের  এলাকা।‌ সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ উপভোগ করেন তিনি। 


আরও পড়ুন:TMC: 'মমতার ছবি ছাড়া জিতে দেখান' হুমায়ুনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দুই হেভিওয়েট নেতার


এরপর জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, সিঙ্গুরে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশেই এই ঝিলটা অবস্থিত। লোকের মনে ধারণা আছে এই সমস্ত জিনিস হলেই দূষণ ছড়ায় গন্ধ বের হয়। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। এখানে যেমন অনুষ্ঠান হল তেমনি এর পাশে ঝিলটা সুন্দর করে রয়েছে আর তার জন্যই পাখিরা এখানে আসে। তাই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থনার মাধ্যমে মানুষ যদি প্লাস্টিক, আনাজের খোসা  ও তরল একসঙ্গে না মিশিয়ে সবুজ ও নীল বালতিতে আলাদা আলাদা করে ব্যবহার করে তাহলে পরিবেশ ভালো হবে। হুগলির পরিবেশ ভালো হবে আরও বেশী পাখির আনাগোনা বাড়বে। আর আমাদের পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে।


এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় কামলে বলেন , "গত কয়েক বছর ধরে এখানে এই ধরনের  পাখি আসে। শীত পড়লেই এই পাখিদের দেখা মেলে। ভারি সুন্দর লাগে দেখতে, চারিদিক শুধু কিচির মিচির আওয়াজ।" যদিও এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তাদের কথা যেখানে শিল্প হওয়ার কথা ছিল সেখানে আজ না হয়েছে শিল্প আর না হচ্ছে চাষ। রাজ্যের শাসক দলের জন্যই এই অবস্থা বলে দাবি তাদের।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Chinsurah News: বেতন চাইতে এসে কেঁদে ভাসালেন চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী