মুম্বই:  সুখের সময় খুব কম। তাই সেটা মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বলিউডে পা দিয়েই, এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সদ্য ১৯ এ পা দেওয়া আলিয়া ভাট। সুপারস্টারদের জীবন সবসময়ই রঙিন নয়, একথা তাঁরা নিজেরাই অকপটে শিকার করে নেন। তবে বক্সঅফিসে একের পর এক ছবি যখন মুখ থুবড়ে পড়ে, ডিপ্রেশনের কালো মেঘ ধরা দেয় বইকি ! ঋত্ত্বিক রোশন, শাহিদ কাপুর, পরিণীতি চোপড়া, দীপিকা পাডুকোন থেকে হানি সিং-ডিপ্রেশন থেকে কেউ যাননি বাদ। এবার কথা হচ্ছে, কে কত দ্রুত সেটাকে মেনে নিয়ে এগোতে পেরেছেন, সেটাই হচ্ছে জীবনের পরীক্ষা। এবার আসা যাক মূল বিষয়ে, বলিউডে যিনি নিজেকে বহুকষ্টে গড়েছেন। রোমান্টিজমের শীর্ষে রাখা হয় যাকে, সেই শাহরুখ খানও, যাননি বাদ। জীবনের এই ওঠাপড়া থেকে। নিজেই জানিয়েছেন, 'যখন জীবনে ব্যর্থতা এসে ঘিরে ধরেছে, বাথরুমে ঢুকে প্রচুর কেঁদেছি।' 


দুবাইয়ের গ্লোবাল ফ্রেট সামিট উপস্থিত হয়েই মুখ খোলেন কিং খান। তিনি বলেন, 'এমন অনেক দিন গিয়েছে বাথরুমে ঢুকে কেঁদেছি শুধু। আমি যে আছি, ভাবতেই যেনও ঘেন্না করত ! ঘৃণা জন্মাত মনে। তবে আমি সেটা কখনই কাউকে বাইরে থেকে বুঝতে দিই না। যখন আপনার ফিল্ম ব্যর্থ হয়েছে, তা মানে এই নয় যে কেউ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ! এই মাটি এই পৃথিবী কেউই আপনার বিরুদ্ধে নয়। হয়তো কোনওভাবে ভুল হয়ে গিয়েছে। কোনওভাবে খারাপ পারফর্মেন্স হয়ে গিয়েছে। এই অনুভূতি নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।' 


 অনেকক্ষেত্রেই জীবন থেকে উঠে আসে চিত্রনাট্যের প্লট। কেউ চিৎকার করে তা বার করতে চায়। কেউবা ঘরের কোণায়। বাথরুমে জল চালিয়ে গোঙানির মুহূর্তও ভারতীয় ছবিতে ভুরিভুরি। জয় গোস্বামীর 'গোঁসাই বাগান' হোক কিংবা অপর্ণা সেনের 'ইতি মৃণালীনি' কিংবা অনুরাগ বসুর 'লাইফ ইন অ্যা মেট্রো'- প্রায় এক ডজন ছবি দেড়শো কোটির আবেগ বহন করে চলেছে। দিনের শেষে মোদ্দা কথা এটাই, সেলেব হোক কিংবা সাধারণ,  জীবনে চড়াই-উতারাই আসবেই। এবং তা পেরোতে হবে।  


আরও পড়ুন, 'বিগ বস' থেকে ফিরে বড় সাফাই অশনীর গ্রোভারের, সলমনকে নিয়ে আবার কী বললেন ?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।