বাপন সাঁতরা, হুগলি: হুগলির (Hooghly) খানাকুলে কয়েক জায়গায় জল কমলেও সমস্য়ার অন্ত নেই মানুষের। কোথাও জলকষ্টের মাঝেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে । কোথাও আবার পঞ্চায়েতে সরকারি ত্রাণ চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য়ে এসেছে বিজেপির কোন্দল। 


প্রকাশ্য়ে বিজেপির কোন্দল: সব হারিয়েছেন তাঁরা, চেয়ে রয়েছেন সরকারি ত্রাণটুকুর দিকে। এই আবহে বন্য়াদুর্গতদের জন্য় আসা ত্রাণ চুরির অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলে। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ্য়ে এল বিজেপির কোন্দল। এই ঘটনা বিজেপি পরিচালিত ধান্যঘড়া পঞ্চায়েতের। এই পঞ্চায়েত অফিসের তালা ভেঙে ত্রাণ চুরির অভিযোগ উঠেছে খানাকুল বিধানসভার বিজেপির কনভেনার নির্মল মান্নার বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েতের প্রধান ও বিজেপি নেতা কার্তিক ঘড়া। তিনি বলেন, "বিডিও অফিস থেকে পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী সাধারণ মানুষকে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত অফিসে মজুত রাখা ছিল। আমি যাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সে আমাকে ফেন করে বলল না জানিয়ে হঠাৎ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভিড় করে স্থানীয় বিজেপি নেতা নির্মল মান্না সহ তার অনুগামীরা। তারপর সিসিটিভি বন্ধ করে তালা ভেঙে জিনিসপত্র নিয়ে চলে যান তারা।'' অভিযুক্ত বিজেপি নেতা নির্মল মান্না বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্য়ে। মানুষ যখন জল যন্ত্রণায় ভুগছে। মানুষ এসেছিল ত্রিপল নিতে। প্রধান না থাকায়, তারা নিয়ে গেছে। প্রধান নিজেই ত্রাণ তার গোডাউনে রেখে মিথ্যা তাদের উপর অভিযোগ করছেন। নিজে লুকিয়ে রখে এইসব বলছে।''                                      

কমছে জল, তবে কমেনি কষ্ট।খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। খানাকুলের বন্দর, ধান্য়ঘড়া, ঠাকুরানিচক, পানশিউলি, রাজাহাটির কোমর পর্যন্ত জল। এই আবহে সাতদিন আগে দারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে মাত্রাতিরিক্ত জল ঢোকায়, তলিয়ে গিয়েছে খানাকুলের তালিপ, বন্দর এলাকার নদী তীরবর্তী ১০ টি বাড়ি। বাড়ি-ঘর হারিয়ে কার্যত খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "বাড়ি ভেঙে গেছে। পুনর্বাসন হোক।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'বাংলায় বর্ষার কারণে নয়, ডিভিসি-র ছাড়া জলে বন্যা হয়' ফের আক্রমণ মমতার