সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, মাহেশ: অক্ষয় তৃতীয়ায় হুগলির মাহেশে (Mahesh) সূচনা হল রথযাত্রার। আজ হল চন্দন যাত্রা। এই উপলক্ষে সকাল থেকে মন্দিরে উপচে পড়া ভিড় ছিল ভক্তদের। এদিনই হালখাতা করেন ব্যবসায়ীরা।


মাহেশে সূচনা হল রথযাত্রার: রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া। এদিনই হুগলির মাহেশে সূচনা হল রথযাত্রা উত্‍সবের। বিশেষ এই দিনে শুরু হল চন্দনযাত্রা। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়ায় হয় চন্দন যাত্রা উত্‍সব। প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে মহাপ্রভু জগন্নাথদেব নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করতে। কারণ, প্রখর রোদের তাপে জগন্নাথদেবের মাথা ধরেছিল। সেই কারণে বিগ্রহে চন্দন লেপে সূচনা হয় চন্দন যাত্রার।          


২১ দিন ধরে চলবে জগন্নাথ দেবের মাথায় চন্দন লাগানো। স্নানযাত্রার দিন সেই চন্দন দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে। স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসবে। তখন বন্ধ থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ভক্তরা দেখা পাবেন না জগন্নাথের। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবেন জগন্নাথদেব। কবিরাজের পাচন খেয়ে জ্বর সারলে মন্দিরের দরজা খুলবে। রথে চেপে বলরাম শুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ। সেই দিনই রথযাত্রা। এ বছর রথযাত্রা ২০ জুন।                 

পুরীতে এদিন থেকে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথ তৈরির কাজ। আর হুগলির মাহেশে সূচনা হয় চন্দন যাত্রার। এই উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় ছিল মন্দিরে। এদিনই হালখাতা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ৬২৭ বছর ধরে কাঠের জগন্নাথ মূর্তি একই রকম রয়েছে। কোনও ক্ষয় নেই। এটাই মাহেশের জগন্নাথের মাহাত্ম্য।৪২ দিন পর হবে স্নান যাত্রা উৎসব। ঘড়া ঘড়া গঙ্গা জল আর দেড় মন দুধ দিয়ে স্নান করানো হবে জগন্নাথ দেবকে। তার ১৫ দিন পর দরজা খুলবে মন্দিরের।


তারাপীঠে উপচে পড়া ভিড়: রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া। সকাল থেকে তারাপীঠে উপচে পড়া ভিড়। এদিন অনেক ব্যবসায়ী হাল খাতায় পুজো দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। লক্ষ্মী, গণেশের মূর্তি নিয়ে মা তারা সামনে রেখে পুজো দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় অনেক ব্যবসায়ী। মন্দির কমিটি সভাপতি তারাময় মুখ্যপাধ্যায় জানান, আজ সকাল থেকে হাজার হাজার পূর্ণার্থী মন্দিরে আসে।মাকে পুজো দিয়ে মঙ্গল কামনা করে।

আরও পড়ুন: Vastu Tips: সপ্তাহের শুরুতে বাড়িতে রাখুন মা লক্ষ্মীর এই ছবি, ধনধান্যে পূর্ণ হবে সংসার