কলকাতা: একেবারে ছোটবেলায় ছবির বই থেকে শুরু। একটু বড় হতেই পৃথিবী চেনা শুরু বইয়ের পাতা থেকেই। কল্পনা, স্বপ্ন দেখার প্রথম পদক্ষেপ। তারপর দীর্ঘ পড়াশোনার জীবন সঙ্গী হয় বই। পরে কাজের জীবনেও ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে ভরসা হয় বই। কোনও ব্য়ক্তির বেড়ে ওঠা, কল্পনাশক্তি তৈরি, আদর্শগঠন- সবকিছুর পিছনেই অবদান থাকে একটি অভ্যাসের-- বই পড়ার অভ্যাস। ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজজীবনে অসম্ভব প্রভাব মনে রেখেই প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল পালিত হয় ওয়ার্ল্ড বুক ডে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বই দিবস। এ দিনটি World Book and Copyright Day হিসেবও পরিচিত।  বই পড়ার অভ্যাস, লেখার অভ্যাস, প্রকাশনা, কপিরাইট- সবকিছুই একইসঙ্গে মনে করায় এই দিনটি। 


ইতিহাস:
ইউনাইডেট নেশনস এডুকেশন, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (UNESCO) সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক বই দিবস পালন করে। দিনটা ছিল ১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল। এই দিনটি একাধিক বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক-লেখকের জন্মদিন বা মৃত্যুদিন। সেই তালিকায় রয়েছেন উইলিয়াম শেক্সপীয়র, গার্সিলাসো ডি লা ভেগা-সহ অনেকেই।


 






গুরুত্ব:
এই দিনটির একাধিক গুরুত্ব রয়েছে। পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার বার্তাও দেয় এই দিনটি। জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে ভাল উৎস বই। জীবনের পথে চলার পাথেয় জোগাড় করতে গেলে পড়ার অভ্যাসের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।


 



বইশিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রকাশনা এবং কপিরাইট। দিনে দিনে বইয়ের চেহারা বদল হয়েছে। কাগজের পাতার ছাপা বই এখন চেহারাভেদে স্ক্রিনে ভেসে ওঠা ই-বুক। পাশাপাশি বই নকলও এখন খুব চেনা বিষয়। সব মিলিয়েই প্রকাশনা শিল্প এখন যথেষ্ট চাপের মুখে। আন্তর্জাতিক বই দিবসে এই দিকগুলো নিয়েও আলোচনা হয়। ইন্টেলেক্টচুয়াল প্রপার্টি রাইটস- নিয়েও সচেতনতা প্রসার করা হয়। 


এই বছরের আন্তর্জাতিক বই দিবসের থিম 'Indigenous Language'- অর্থাৎ আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক ভাষা। ভাষা বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দিতেই বেছে নেওয়া হয়েছে এমন থিম। 


আরও পড়ুন: লক্ষ্য IAS অফিসার হওয়া! সিঙারা বিক্রি করে স্বপ্ন জয়ের লক্ষ্যে বিশেষভাবে সক্ষম এই ব্যক্তি