হুগলি: মা ও মেয়ের একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা। একজন গলায় দড়ি দিন এবং অন্যজন হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনায় মা-কে বাঁচানো গেলেও মৃত্যু হয়েছে বছর ৩৫-এর মেয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগরের ক্রাইফার রোড সংলগ্ন এলাকায়। অরণি এপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় দু'জনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, আহত মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পারিবারিক কোনও সমস্যা নাকি অন্য কোনও কারণ? ঠিক কী কারণে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত? স্থানীয় সূত্রে খবর, অরনি অ্যাপার্টমেন্টে প্রায় ৭ বছর ধরে এই ফ্ল্যাটে থাকতেন মুখোপাধ্যায় পরিবার। বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় ও কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের বছর ৩৫-এর একমাত্র অবিহবাহিতা মেয়েও থাকতেন ওই একই ফ্ল্যাটে।
আর্থিক অনটনের সংসার চলত মা ও বাবার পেনশনের টাকায়। বাবা বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী ছিলেন। পারিবারিক অবস্থার অবনতি ও মানসিক অবসাদের জেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। মেয়ের আত্মহত্যা দেখে তার মাও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশী আবাসিকরা এসে কৃষ্ণাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে তার মেয়েকে বাঁচানো যায়নি।
ঘটনাস্থলে কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ এসে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলশ।
এর আগে পানাগড়ে (Panagarh) রেল কোয়ার্টারে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘরেই মিলেছিল ঝুলন্ত দেহ। পা বিছানায় ঠেকানো অবস্থায় ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছিল আইভির স্বামী রাজীব রেলে চাকরি করেন। নদিয়ার বাসিন্দা ওই দম্পতির বছর তিনেকের সন্তানও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল অফিস গিয়েছিলেন। ফিরে এসে স্ত্রীর সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানান। কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।
ঘর খুলেই দেখা গিয়েছিল হাঁটুমোড়া অবস্থায় ঝুলে রয়েছেন বধূ। মুখে কোনও বিকৃতিও নেই। তাহলে কি আত্মহত্যা না কি খুন? নাকি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও জটিল কারণ? এখনও সেই হদিশ মেলেনি। তবে রেল কোয়ার্টারে এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে।