সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: দুর্গাপুজোর মিটিংয়ে তুমুল অশান্তির সময়ে জুতো হাতে তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরের মারমুখী ভাইরাল ছবি ঘিরে শুরু হয়রছে বিতর্ক। 


ঠিক কী ঘটেছে? 
 
একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্ত হাতে জুতো নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন, মারছেন। আর এই ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে চুঁচুড়া শহরে। (যদিও এই ভাইরাল ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ)


জানা গেছে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল ওলাইচন্ডীতলা এলাকায় দুর্গা পুজোর মিটিং-এ ধুন্ধুমার হয় রবিবার। চুঁচুড়ার ওলাইচণ্ডী মন্দিরের পাশে রয়েছে অজয় সংঘ ক্লাব। ক্লাবের পাশেই ওলাইচণ্ডীর মন্দির এবং মাঠ। সেই মাঠে হয় দুর্গাপুজো। ওলাইচণ্ডীর মন্দিরে নিত্যদিন পুজোর পাশাপাশি দোলের পরের শনিবার বার্ষিক পুজো এবং মেলা বসে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, ট্রাস্টি বোর্ড মন্দিরটি পরিচালনা করে। দুর্গাপুজোর আয়োজন করে অন্য কমিটি। ক্লাব করে এই দুর্গাপুজোটি। এদিকে ক্লাবের সদস্যরাই ট্রাস্টি ও পুজো কমিটিতে রয়েছেন। ওলাইচণ্ডী মন্দির ট্রাস্টি থেকে ৫০ হাজার টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে দেয় প্রতিমা কেনার জন্য। কিন্তু সেই টাকা কেন দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর রীতার স্বামী স্বপন দাস।


কাউন্সিলরের দাবী, মন্দিরের উন্নতিকল্পে সাধারণ মানুষের দানের টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে কেন দেওয়া হবে? আমার স্বামী ও ছেলে এই প্রশ্ন তুলতেই তাকে মারতে উদ্যত হয় কমিটির লোকজন। তাই আমি সেখানে গিয়ে জুতো দেখিয়েছি। একই লোকজন দুর্গা পুজো ও ওলাইচণ্ডী পুজোয় আছে। তারা কোনও হিসেব দেয়না। পাড়ার লোককেও মন্দিরে মানসিক পুজো দিতে গেলে দশ হাজার টাকা দিতে হয়। ভোগ দেওয়া হয়না, অথচ টাকা নিয়ে বিক্রি হয়। এসবের প্রতিবাদ করায় ক্লাবের সদস্যরা আমার স্বামীর উপর চড়াও হয়। আবার থানায় যায়। তাই আমরাও থানায় গেছি।


পুজো কমিটির সদস্যদের দাবী, দুর্গাপুজো কমিটির ছেলেরাই মন্দিরের সব কাজে ছুটে আসেন। মেলায় অনেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। একই ব্যক্তি মন্দির ও পুজো কমিটির সদস্য তবে কমিটি আলাদা। কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন দত্ত পুজো কমিটিতে ঢুকতে চায় তাই মিথ্যা অভিযোগ করছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে