সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া: নাবালক ছেলের সাক্ষীর ভিত্তিতে স্ত্রীকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল এক ব্যক্তি। বুধবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে চুঁচুড়া জেলা আদালত (Chinsurah News)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করা হবে। দোষী সাব্যস্ত ওই ব্যক্তি হল হুগলি জেলার ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত জামাইবাটি কাপগাছি গ্রামের বাসিন্দা শেখ নাজিবুল (Dhaniakhali Murder)।


 চুঁচুড়া জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৬ সালের বৈশাখ মাসে নাজিবুলের সঙ্গে বিয়ে হয় ধনিয়াখালি চক-সুলতান গ্রামের সাবিনা বেগমের। পরে তাদের দুটি সন্তান একটি করে ছেলে ও মেয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরে স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নাজিবুল। এই নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। ২০১৫ সালের ২৫ অগাস্ট অশান্তি চরমে ওঠে। তখন বড় ছেলে শেখ সাহিলের বয়স ৬ বছর ও মেয়ের বয়স মাত্র ২ বছর। ওই রাতেই বালিশ চাপা দিয়ে সাবিনা বেগমকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে নাজিবুল। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ছেলে ও মেয়ে দুজনেই বাবাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।  শ্বাসরোধ করে সাবিনাকে খুন করে নাজিবুল। 


এরপর সাবিনার বাবা মতিহার রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিনই নাজিবুলকে গ্রেপ্তার করে ধনিয়াখালি থানার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তদন্ত শেষ করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮/এ, ৩০২ ও ২০১ নম্বর ধারায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। এরপর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ২০২২ সালের ২ এপ্রিল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় সাহিল, তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর। এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 


শঙ্করবাবু আরও জানিয়েছেন, এই মামলায় বিশেষ উল্লেখ্য বিষয় হল আদালতে এসে সাবিনা বেগমের ১৩ বছরের ছেলে সাহিল ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেয়। বুধবার হুগলি জেলা আদালতের তৃতীয় অ্যাডিশনাল সেশন জজ কৌস্তব মুখোপাধ্যায় শেক নাজিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শঙ্করবাবু দাবি করেছেন, এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ফাঁসির সাজা অবশ্যম্ভাবী।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Bankura Murder Case: পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা সহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড