সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: শাশুড়িকে ধরে এলোপাথাড়ি ভোজালির কোপ জামাইয়ের। রেহাই পেল না শ্যালিকাও। ঘটনা হুগলির বলাগড়ের জিরাট হাশিমপুর কলেজ মাঠে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।


ভোজালির কোপে আহত দুই: পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে জিরাট কলেজ মাঠের সীমা বাড়ইয়ের বিয়ে হয় জিরাট নিবাসী অসিত হালদারের। আট বছর সংসার করার পর বৈবাহিক সমস্যায় তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান আছে। এদিন সকালে অসিত হালদার সীমার বাড়িতে আসে। অভিযোগ হাতে ভোজালি নিয়ে রীতিমতো ভয় দেখাতে থাকে। দেয় খুনের হুমকিও। অভিযোগ, আওয়াজ পেয়ে সীমার ছোট বোন বেরিয়ে আসতে প্রথমে ছোট বোনকে ভোজালির কোপ মারে। ছোট বোনকে বাঁচাতে মা ছুটে আসলে সেই সময় অসিত তার শাশুড়িকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়া।  শাশুড়ি এবং ছোট বোনকে জিরাট আহাম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁদের চুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযুক্ত জামাই অসিত হালদারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।


এদিকে হাওড়া স্টেশনে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের কামরায় মিলল রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। আপার বাঙ্কে চাদর চাপা দেওয়া অবস্থায় ছিল এক তবলা শিল্পীর দেহ। মৃতের নামে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (৬১) বিশেষভাবে সক্ষম ওই ব্যক্তি পেশায় ছিলেন তবলা বাদক। বাড়ি হাওড়ার বালির নিশ্চিন্দা ঘোষপাড়ায়। পরিবারের দাবি, প্রায়ই বিহারের কাটিহারে যেতেন তিনি।  কাটিহার রামকৃষ্ণ মিশনে ১২ বছর তবলার শিক্ষক ছিলেন। সোমবার ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসে ওঠেন বাড়ি ফেরার জন্য। মঙ্গলবার ট্রেন হাওড়ায় পৌঁছলে কামরা থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান GRP ও RPF-এর। পরিবার সূত্রে খবর, খোয়া গিয়েছে মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা ও ব্যাগ। হাওড়া স্টেশনে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস থেকে যাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। প্রশ্ন উঠছে, ট্রেনের মধ্যে কী করে খুন হলেন ওই ব্যক্তি? কোথায় ছিল রেলপুলিশ? কোথায় ট্রেন-যাত্রীদের নিরাপত্তা? 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Siliguri News: চুরির পরে চোরাই মাল মাটিতে পোঁতা, অন্য চোরের থেকে বাঁচাতে; আজব সাফাই চোরের !