সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডানকুনি: অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করতে না পেরে, অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে টোটো চালিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় এলেন টোটো চালক। সালারের বাসিন্দা টোটো চালকের দাবি, মাঝপথে হুগলির ডানকুনিতে টোটোর ব্য়াটারির চার্জ ফুরিয়ে যায়। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়।


আর্থিক পরিস্থিতি প্রতিকূল। এদিকে সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো সামর্থ নেই। তাই নিতে হল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। অসুস্থ স্ত্রীকে টোটোতে চাপিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী শিবানী বন্দ্যোপাধ্যায় কিডনির অসুখে ভুগছেন। কয়েকদিন আগে স্ট্রোক হয়। কেতুগ্রাম ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে নানারকম পরীক্ষা করাতে বলেন চিকিৎসকরা। টোটো চালকের দাবি, অর্থের অভাবে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে না পেরে নিজের টোটো করেই স্ত্রীকে কলকাতায় আনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ডানকুনিতে পৌঁছানোর পর চার্জ শেষ হয়ে যায় টোটোর ব্যাটারির। ঘটনা জানাজানি হতেই, ডানকুনি পুরসভার চেয়ারপার্সনের উদ্যোগ নেন। বাকি পথটুকুর জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় অ্য়াম্বুলেন্সে। শেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন টোটো চালকের স্ত্রী। টোটো চালক উপেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কিডনির সমস্যা আছে। স্ট্রোকও হয়েছে। ছেলেটা উচ্চমাধ্যমিক পড়তে পারল না। নিজেই রান্না করে এদের খাওয়াই। টাকা না থাকায় টোটো করেই আনতে বাধ্য হয়েছি।''


গত সপ্তাহে সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মুমূর্ষু রোগীকে হয়রানির অভিযোগ ওঠে। রোগীর মৃত্যুর পর উত্তেজনা ছড়ায় SSKM হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, গড়িয়ার বাসিন্দা সুশীল হালদারের গতকাল নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায়, হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগ, SSKM কর্তৃপক্ষ বেড নেই বলে জানায়। 
রাতভর NRS ও কলকাতা মেডিক্যালেও ঘুরেও ভর্তি করা যায়নি। সকালে রোগীকে নিয়েই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান আত্মীয়-পরিজনেরা। সেখান থেকে চিঠি লিখে দেওয়ায় রোগীকে ফের SSKM-এ আনা হয়। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে ঢোকানোর সময় রোগী অসাড় হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। SSKM হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেনারেল সার্জারির আউটডোরে পাঠানো হয় রোগীকে। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আরও পড়ুন: Mid Day Meal Theft: এবার মিড ডে মিল চুরির অভিযোগ, ক্যামেরা দেখেই বাইক নিয়ে উধাও প্রধান শিক্ষক