আরামবাগ : আর জি কর-কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের ছবি ধরা পড়েছে দেশ-বিদেশেও। ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এখনও বিশেষ কিছু অগ্রগতি সামনে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে বিচারের দাবিতে সরব রাজ্যবাসী। সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কখনো শ্লীলতাহানি, তো কখনো উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ সামনে এসেছে। এর মধ্যেই এবার সরকারি দফতরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। আরামবাগে সরকারি দফতরে মহিলা আইনজীবীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক কর্মীকে।


রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন !


এদিনই সল্টলেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন খোদ তরুণীই। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বাগুইআটির বাসিন্দা।


দিনকয়েক আগেই ধাওয়া করে এক কিশোরীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। নিউ আলিপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে হরিদেবপুর থেকে নাচের স্কুলের অধিকর্তা প্রলয় ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে লাল গাড়ির ছবি দেখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।  


কী ঘটনা ?


কিশোরীর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ১৫ বছরের ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৫০ বছরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রলয় ঘোষ। তিনি হরিদেবপুর এলাকার বাসিন্দা। বেহালায় তিনি একটি নাচের প্রতিষ্ঠান চালান। নিউ আলিপুর এলাকায় ফাঁকা রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে।


অভিযোগ, ওই কিশোরী যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তখন একটি লাল রঙের গাড়ি নিয়ে যাওয়া প্রলয় ঘোষ তাঁর রাস্তা আটকান। কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করেন। পিছন থেকে অনুসরণ করেন । ছাত্রীর মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়, কিশোরী কেক খাবে কি না জানতে চাওয়া হয়। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। এনিয়ে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে পুলিশ শ্লীলতাহানির POCSO ধারায় মামলা রুজু করে।


এরপর একাধিক সিসি টিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের গাড়ি চিহ্নিত করা হয়। এরপর প্রলয় ঘোষ সম্পর্কে জানা যায়। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।


তার আগে লেক অ্যাভিনিউয়ের রাস্তায় অভিনেত্রী পায়েল মুখোপাধ্যায়কে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। অভিনেত্রীর গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। নিরাপত্তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হতেই অভিযুক্তকে ধরতে তৎপর হয় টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। গ্রেফতার হন সেনা অফিসার।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।