বাপন সাঁতরা, গোঘাট : হুগলির গোঘাটে উদ্ধার হল নিখোঁজ যুবকের পচাগলা দেহ। খুনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। মৃতের নাম বরুণ দাস। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বছর ৩০-এর যুবক। তাঁর বাড়ি রঘুবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগ্রাম এলাকায়। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বরুণ। আজ সকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে পুকুর পাড়ে জঙ্গলের মধ্যে ওই যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে গোঘাট থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে যুবকের দেহ। স্থানীয়দের একাংশের এবং মৃতের পরিবারের কিছু জনের অনুমান, হয়তো অন্য কোথায় খুন করে দেহ এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি এই যুবক। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কিনা, সম্প্রতি বচসা বা ঝামেলা হয়েছিল কিনা, এই ঘটনার জন্য মৃতের পরিবারের তরফে অভিযুক্তর তালিকায় কেউ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে গোঘাট থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানেয়ে বাসিন্দাদেরও। বরুণ দাসের মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং সময় এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এইসব তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

মহেশতলায় নার্সের রহস্যমৃত্যু 

মহেশতলায় এক নার্সের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি মহেশতলার থানার পুলিশ। মৃতার পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মহেশতলা পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জগৎপাড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রাই প্রথম শিল্পী বিবির দেহ দেখতে পান এবং পুলিশের খবর দেন তাঁরাই। মহিলা নিজের বাড়ির কাছেই একটি গলিতে পড়ে ছিলেন নিথর হয়ে। গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স হিসেবে কাজ করতেন শিল্পী। পুলিশ সূত্রে খবর, শিল্পীর স্বামী কোনও কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। তাঁকে খুঁজতেই রাত ২টো নাগাদ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর আড়াইটে নাগাদ শিল্পীর বাড়ির কাছেই একটি গলিতে তাঁর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। কখন, কীভাবে শিল্পীর মৃত্যু হল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ।