সোমনাথ মিত্র, হুগলি: কম খরচে চাষের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে অভিনব উদ্যোগ। ড্রোনের সাহায্যে কীটনাশক দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে কৃষি দফতর। আজ, বৃহস্পতিবার সিঙ্গুর ব্লকের ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের আথালিয়া গ্ৰামে কৃষি জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে ড্রোন দিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। চাষীদের বিষয়টি বোঝানোর জন্যই আজকের ব্যবস্থা। উন্নত এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একদিকে কৃষকদের উৎপাদন খরচ যেমন সাশ্রয় হবে, পাশাপাশি কৃষকরা এই প্রযুক্তি কিনতে চাইলে সরকারের থেকে ভর্তুকও দেওয়া হবে কৃষকদের।
সারা বিশ্বের যেভাবে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, সেজিকে পিছিয়ে নেই এ রাজ্যও। বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যেমন ধান কাটার মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন চাষীরা উপকৃত হয়েছেন, তেমনই ফসলে কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহারও আগামীদিনে কৃষকদের অনেক সহায়তা করবে বলেই আশাবাদী কৃষি দফতর। সেই প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করা হবে,কীভাবে কৃষকরা এই প্রযুক্তিতে লাভবান হবেন তা পরীক্ষামূলকভাবে প্রদর্শনীর সঙ্গে ব্যাখা করা হল আজ সিঙ্গুরের আথলিয়া গ্রামে।
কৃষি দফতরের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিজ বিপণন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা কৃষি অধিকর্তা প্রিয়লাল মৃধা, বিশ্ব ব্যাঙ্কের জেলা আধিকারিক বাপ্পাদিত্য সেনাপতি, জেলা ইনফরমেশন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অভিজিৎ বণিক, সিঙ্গুর ব্লক কৃষি উপাধিকর্তা রাম দাস মান্ডি, হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মদনমোহন কোলেসহ আরও অনেকে। এদিন সরাসরি মাঠে ড্রোনের সাহায্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে দেখানো হয় চাষীদের।।
কৃষিজ বিপণন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে কৃষকের আর্থিক সাশ্রয় হবে,বাঁচবে সময়ও। সারা রাজ্যজুড়ে এই পদ্বতি ব্যহারের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মদনমোহন কোলের কথায়, 'রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ড্রোনগুলো কৃষকদের ভর্তুকি আকারে দেয়া হচ্ছে। আগামী একুশে জানুয়ারি অবধি কৃষকেরা এই ড্রোন ক্রয় করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আর এই প্রযুক্তির দ্বারা বিস্তীর্ণ এলাকার সমস্ত পোকামাকড় ধ্বংস করা সম্ভব হবে। সবমিলিয়ে উন্নতি এই প্রয়ুক্তি একদিকে যেমন উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে কৃষকদের সাশ্রয়ও হবে।