সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: গত শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি জোড়া খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় হুগলির সিঙ্গুর থানা এলাকার মির্জাপুর গ্রামে। আজ সেই জোড়া খুনে অভিযুক্ত উত্তম সাঁতরাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করায় পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশকে জানায়, ‘মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা ছিল না। টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোনও বিবাদও ছিল না। কীভাবে হয়ে গেছে জানি না।’


গত শুক্রবার যে দুই ভাইকে খুন করার অভিযোগ উত্তম সাঁতরার বিরুদ্ধে, তাঁদের নাম নির্মল মালিক (৪০) ও রাজকুমার মালিক (৩৫)। দুই ভাই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের পরিবার সূত্রে খবর, সেদিন দুপুরে মির্জাপুর স্টেশন লাগোয়া বাজারে গিয়েছিলেন নির্মল। তিনি যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বাজারের উদ্দেশেই রওনা তাঁর ভাই রাজকুমার। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাজারের মধ্যেই নির্মলকে কুপিয়ে খুন করে আততায়ী। সেখান থেকে পালিয়ে বাজারে যাওয়ার রাস্তায় দ্বিতীয় খুন করে সে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত উত্তম সাঁতরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র।


আজ সিঙ্গুরের মির্জাপুর-বাঁকিপুর স্টেশন লাগোয়া বাজার এবং বাজার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে দু’টি আলাদা জায়গায় কীভাবে দুই ভাইকে ছুরি চালিয়ে খুন করে, তা পুলিশকে দেখায় অভিযুক্ত। এই ঘটনায় ডিডিওগ্ৰাফি করে পুলিশ।


অভিযুক্ত জানিয়েছে, খুনের সময় দু’বার করে দুই ভাইয়ের পেটে ছুরি চালায় সে। একটি ছুরি আগেই স্থানীয় গঙ্গাধরপুর বাজারের কামারশাল থেকে  কিনেছিল সে। সেই ছুরি দিয়েই দুই ভাইকে খুন করে। অভিযুক্ত উত্তম সাঁতরা কেন দুই ভাইকে খুন করল, সেটা নিয়ে পুলিশ এখনও ধোঁয়াশায়।


হুগলী জেলা গ্ৰামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ‘আজ সিঙ্গুর থানায় গিয়ে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। ঘটনার সময় অভিযুক্ত প্রচুর মদ‍্যপান করেছিল। তবে কেন সে খুন করল? কোনও পুরনো শক্রতা ছিল? নাকি অন‍্য কারণ ছিল খুনের পিছনে, তা এখনও জানা যায়নি।’