কলকাতা: রিষড়ায় আক্রান্ত বিজেপি, সুকান্ত মজুমদারকে ফোন জেপি নাড্ডার। এদিন সন্ধে ৬টা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ রিষড়ার পরিস্থিতি জানতে সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি সুকান্তর, খবর সূত্রের। শিবপুর, রিষড়াকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে শুভেন্দু অধিকারী। ৮ এপ্রিল রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আসার দাবি করা হয়েছে।


দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কাল শ্রীরামপুরে অবস্থানে বসবেন তিনি। রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে, রবিবার অশান্ত হয় হুগলির রিষড়া। আর, সোমবার বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল কোন্নগরে। পুলিশের ব্যারিকেড ধরে টানাটানি করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করলেন তাঁরা।


পুলিশের সঙ্গে বচসা:
দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে কার্যত অবরুদ্ধ থাকল জিটি রোড। আর, রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার, শ্রীরামপুরে অবস্থানে বসবেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'আগামী কাল আমি বড়তলায় অবস্থান-বিক্ষোভ। পুলিশ গ্রেফতারি না বন্ধ করলে অবস্থানে বসব, প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকাল চলবে, যদি এই গ্রেফতারি বন্ধ না হয়।' আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। জিটি রোডের উপর ব্যারিকেড করে আটকানো হয় রাস্তা। তিন দিক দিয়ে ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকানো হয়। গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এরপরই, উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পাশাপাশি। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। যখন, পুলিশের গার্ডরেল ধরে ঠেলাঠেলি করছেন বিজেপির কর্মীরা, তখন গার্ডরেলের সামনে গাড়িতে বসে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরেক সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো।


এরপর, রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ১৪৪ ধারা রয়েছে বলে মিছিল করা যাবে না বলে জানায় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডার পরে বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ হেঁটে রিষড়ার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতরা। এরপর, ফের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আবারও পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির। সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, তৃণমূলের সাংসদ-চেয়ারম্যান ঘুরছেন, আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মীর বাড়িতে যাব। দুর্ভাগ্য আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সমস্ত বিষয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাব, সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানাব। কাল জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে।' এরপর, ফের পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। রবিবারের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর সোমবার থমথমে রয়েছে রিষড়া। বিজেপির অভিযোগ, এদিনও বোমাবাজি হয় রিষড়ার বাঘখাল এলাকায়। এর মধ্যেই জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় চলছে টহলদারি।


আরও পড়ুন: 'বাম আমলে মেধা অনুযায়ী চাকরি হয়নি, তৃণমূল জমানায়..' ? বিস্ফোরক শুভেন্দু