কলকাতা: রিষড়াকাণ্ডের (Rishra Violence) পর তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এদিন শিবপুর-রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী


এদিন শুভেন্দু বলেন, 'একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস, ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ভাল করে জানেন, এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসি-র (NRC) মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। সাগরদিঘি নির্বাচন-উপনির্বাচনের পরে তিনি বুঝেছেন, যে পশ্চিম বাংলায়, সংখ্যাগুরু- সংখ্যালঘু শুধু নয়, প্রত্যেকটা সচেতন নাগরিক মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে হারাতে চান। স্বাভাবিকভাবে এই আতঙ্ক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার যে লোকাল নেতা কিছু আছে, তাঁদেরকে দিয়ে, এই জিনিসটা করাচ্ছেন।'


 রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্ত রিষড়া। আর এই ইস্যুতেই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন তিনি। ১ মাসের জন্য শিবপুর-রিষড়া থানাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ছাড়ার দাবি জানিয়েছেন।গতকালও হাওড়া-রিষড়াকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ করেন তিনি।'রেড রোডের ধর্না থেকেই অশান্তিতে উস্কানি তৃণমূলনেত্রীর', বলে 'একসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট ভাল করে করতে হবে',হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। যদিও পাল্টা তোপ দেগেছেন মমতাও। রিষড়ায় অশান্তিতে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, রামনবমীর মিছিল কেন ৫ দিন ধরে হবে? বিনা প্ররোচনায় হাওড়া, রিষড়ায় হামলা চালানো হয়েছে। ৬ তারিখেও মিছিলের নামে হামলা করতে পারে, প্রশাসনকে সতর্ক করছি, কোনও সমস্যা যেন না করতে পারে কেউ'। 


আরও পড়ুন, 'দায়ী মমতা', রিষড়াকাণ্ডের পর বিস্ফোরক ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি


প্রসঙ্গত, শিবপুরকাণ্ডের পরও সাংবাদিক বৈঠকে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে, 'তোষণের রাজনীতি তৃণমূল নেত্রীর' বলে নিশানা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেন্দু, এর কারণ ব্যাক্ষা করে বলেছিলেন, 'দিদি তথাকথিত ধর্নার মঞ্চ থেকে পরশুদিন, রামনবমীর অনুষ্ঠানকে, তার শোভাযাত্রাকে , রামনবমী পালনকে সকলের সামনে ব্যপকভাবে আক্রমণ করেছিলেন। আপনাদের জেনে রাখা দরকার রামনবমী কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল না। গত দু-তিন মাস ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এবং অসংখ্য সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার সংগঠনগুলি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এই রামনবমীর অনুষ্ঠান, কোভিড পরবর্তী সময়ে, যেহেতু সব বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে, বিপুল উৎসাহ , উদ্দীপনার সঙ্গে পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিল।'