কলকাতা: রিষড়াকাণ্ডে (Hooghly Rishra Violence) গতকাল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানার মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বারংবার একাধিক ইস্যুতে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এলেও, এবার রিষড়া ইস্যুতে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েটরা একযোগে তোপ দাগছেন শাসক শিবিরে। রাত পেরোতেই তাই পট পরিবর্তন। এদিন ছবি-সহ ময়দানে নামলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন রিষড়াকাণ্ডে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে ট্যুইটে তোপ সুকান্ত মজুমদারের।
এদিন সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটে একাধিক ছবির কোলাজ পোস্ট করে, ছবিতে সবুজ কালি দিয়ে গোল করে চিহ্নিত করেছেন কয়েকজনের মুখ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, 'যে মুখগুলো কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিল, তারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় কী করছিল? একই মুখের দুই জায়গায় উপস্থিতি হামলার পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন উস্কে দিচ্ছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস অবস্থান স্পষ্ট করুক।' ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
প্রসঙ্গত, একুশ থেকে তেইশ সালের মাঝে সারা দেশ জুড়েই একের পর এক ইস্যুতে অশান্তি হয়েছে। নুপুর শর্মা ইস্যুতেও উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। অশান্তি ছড়িয়ে ভিনরাজ্য থেকে বাংলাতেও প্রভাব ফেলেছিল। তেমনই সদ্য তেইশে ঘটা তিলজলার শিশু মৃত্যু ঘটনার পরও উত্তাল হয় এশহর। তারপর এবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার পর হুগলি। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন, কিছুই গেল না বাদ । আবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও।
আরও পড়ুন, 'BJP-র পরিকল্পিত নাটক', রিষড়াকাণ্ডে কী প্রতিক্রিয়া কুণালের ?
এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ' কে কী করছে, আমি জানি না। ঘটনা যেটা, আমি যেটা দেখেছি, আমি নিজেই ভুক্তভুগী। তার আগের দিন আমি ছিলাম, টাকি শহরে। সেখানে শোভায়াত্রা ছিল, সেখানে গন্ডোগোল হয়নি। কালকে যখন আমি গিয়েছি, রিষড়াতে, শোভাযাত্রা সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে প্রায়। তার আগেই গন্ডোগোল শুরু হয়। আগামী ৬ তারিখ অবধি সারা বাংলায় বিভিন্ন জায়গায় মিছিল আছে। আর এটা প্রতিবছর হয়। তৃণমূল ঠিক করবে না, যে হিন্দু সমাজ কবে মিছিল করবে, কবে উৎসব করবে। তার কবে ছুটি দেবেন, কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করবেন সেটা ঠিক করুন, বাকিটা হিন্দু সমাজের উপর ছেঁড়ে দিন', বলে স্পষ্ট করে দেন দিলীপ ঘোষ।