কলকাতা: হুগলির রিষড়াকাণ্ডে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ কুণাল ঘোষের। মূলত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে এদিন আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। জিটি রোডে ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। এদিন রিষড়াকাণ্ড নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'বিজেপির পরিকল্পিত নাটক।' এদিন তৃণমূলনেত্রীর সুরেই 'রাম নবমী কদিন ধরে হয় ?' বলে প্রশ্ন তুলেছেন।


 হুগলির রিষড়াকাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে গতকাল তৃণমূলের হেভিওয়েট কুণাল ঘোষ বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই রিষড়ায় অশান্তি বিজেপির। ডিজে বাজিয়ে অসভ্যের মতো নেচে রামনবমী, এ কেমন রামনবমী বাংলায় ?' অপরদিকে, পিস্তল হাতে যুবকের ছবি দেখিয়ে হাওড়ায় অশান্তির নেপথ্যে বিজেপি দায়ী বলে, গত ৩১ মার্চ আক্রমণ শানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাঁদের দাবি, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে হাওড়ায় নির্ধারিত রুটেই রামনবমীর মিছিল করা হয়।


এই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হলে,কুণাল ঘোষ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন,'মুখে কথা বলে লাভ নেই। যদি তা নিয়ে নথি থাকে সেটা দেখান।' বলে নিজের কথায় অনড় থেকে 'পুলিশ যেই শর্তগুলি দিয়েছিল আপনারা সেগুলি মানেননি', বলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া কুণালের। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen)। তিনি বলেন, 'পুলিশ কি উত্তরপ্রদেশের মতো বা গুজরাতের মতো এনকাউন্টার করবে? গুলি চালাবে? আমরা তো দেখেছি বিজেপির মিছিলে যখন পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে, তখনও পুলিশ সহনশীলতা দেখিয়েছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে এটা করা হচ্ছে। বাংলায় যত শান্তি বিরাজ করবে বিজেপি ততই হারিয়ে যাবে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাংলাকে অশান্ত করার জন্য এটা করছে বিজেপি।' 


আরও পড়ুন, 'বাম আমলে মেধা অনুযায়ী চাকরি হয়নি, তৃণমূল জমানায়..' ? বিস্ফোরক শুভেন্দু


রিষড়ায় অশান্তিতে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রামনবমীর মিছিল কেন ৫ দিন ধরে হবে? বিনা প্ররোচনায় হাওড়া, রিষড়ায় হামলা চালানো হয়েছে। ৬ তারিখেও মিছিলের নামে হামলা করতে পারে, প্রশাসনকে সতর্ক করছি, কোনও সমস্যা যেন না করতে পারে কেউ'।