সোমনাথ দাস, তারকেশ্বর: ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট (Municipal Election)। তার আগে ভোটাদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিতে এবং এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বর (Tarakeshwar) পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রুট মার্চ করছে পুলিশ (Cops)। ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি থানার ফোন নাম্বারও খাতায় লিখে দেন পুলিশ আধিকারিকরা।


হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশের উদ্যোগে তারকেশ্বর থানার পুলিশ আধিকারিকদের সহযোগিতায় আজ সকাল থেকেই তারকেশ্বর পুরসভার ১, ২, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, সরাসরি ভোটারদের কাছে গিয়ে কেউ ভয় দেখাচ্ছে কিনা, ভোট দিতে কোনও অসুবিধা আছে কি না, সেসব জিজ্ঞাসা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। ভোট দেওয়া নিয়ে কেউ ভয় দেখালে সেটা সঙ্গে সঙ্গে তারকেশ্বর থানায় জানাতেও অনুরোধ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা খাতায় থানার ফোন নাম্বারও লিখে দেন ভোটাদের।


আরও পড়ুন পুরভোটে প্রার্থী ভিনরাজ্যের বাসিন্দা? বিজেপির অভিযোগে তুমুল বিতর্ক


পুরভোটের আগে পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি তারকেশ্বরের বাসিন্দারা। পুলিশের আশ্বাসে ভোট দেওয়ার বিষয়ে মনোবল বাড়ছে বলেও জানান তারকেশ্বর পুর এলাকার বাসিন্দারা।


এদিকে, পুরভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হল গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। কাল সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি হওয়ার কথা।


বিজেপি সূত্রে খবর, তাদের হয়ে পুরভোট সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করবেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিৎ কুমার। মোদি জমানার প্রথম দিকে ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত রঞ্জিৎ কুমার সলিসিটর জেনারেল পদে ছিলেন।


বিজেপি-র অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রচারে সেগুলিকেই হাতিয়ার করছে শাসক দল। সেইসঙ্গে বিজেপি-র অভিযোগ, যাঁরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করতে পেরেছেন, তাঁদেরও মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে।