সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, রিষড়া: পুরভোটে তৃণমূলে প্রার্থী বিক্ষোভের মধ্যেই এবার ভিনরাজ্যের ভোটার-বিতর্ক। হুগলির রিষড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পার্থসারথী গুপ্ত। বিজেপির অভিযোগ, তিনি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের ভোটার। এ নিয়ে এলাকায় পোস্টারও লাগিয়েছে বিজেপি।
শুধু তাই নয় প্রার্থী পদ বাতিলের দাবিতে মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে তারা। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, গোটাটাই চক্রান্ত। প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা নেতৃত্ব। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, পুরভোটে তৃণমূলে প্রার্থী বিক্ষোভ অব্যাহত। টিকিট না পাওয়ায় ১৮ জন অনুগামী-সহ নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার উপ পুর প্রশাসক। এই পুরসভার ২ বারের চেয়ারম্যান পিনাকী ধামালি। এবার দলের টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ, স্পষ্ট জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, গণতন্ত্রে যে কেউ নির্দল হিসেবে লড়তে পারে। তবে এখন যারা দলের বিরুদ্ধে তাদের আর কোনওভাবেই ফেরানো হবে না, হুঁশিয়ারি তৃণমূল জেলা সভাপতির।
আরও পড়ুন, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি বিজেপি-র, সীমানা সিল করার আর্জি বামেদের
অন্যদিকে, আরামবাগে (Arambagh) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কাউন্সিলর (Councillor) ফের টিকিট পাওয়ায় বিক্ষোভ। ব্লক পার্টি অফিসে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকের সময় বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, তাও কেন প্রার্থী? প্রশ্ন তুলে জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। অন্য কাউকে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়। এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল প্রার্থীর।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ওঁকে প্রার্থী চাই না। অন্য কাউকে দাঁড় করাক দল। উনি আমাদের কোনও কাজ করেন না। উপরন্তু, আমাদের যেসব পাওনা সেগুলো নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করেন। আমরা গরিব মানুষ। লোকের ঘরে পরিচারিকার কাজ করে খাই। চাল, গম, ত্রিপল-এসব তো আসে আমাদের জন্য। সরকার থেকে তো গরিবের জন্য এই জিনিসগুলো আসে। সেগুলো কেন পাই না ?
সব মিটে যাবে, আলোচনা করে মিটিয়ে দেব বলে দাবি জেলা সভাপতির। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় কর্মীদের ক্ষোভ আছে। ওটা আমরা বসে মিটিয়ে নেব। তাছাড়া একটা মানুষ কি সবার কাছে ভাল হয়?