সোমনাথ মিত্র, হুগলি: হুগলির সিঙ্গুরে নার্সের রহস্যমৃত্যু। নার্সিংহোম থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মেয়েকে খুনের অভিযোগে রাস্তায় বিক্ষোভ বাবা-মায়ের। শুধু অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়েছিল, দাবি পরিবারের।

হুগলির সিঙ্গুরে নার্সের রহস্যমৃত্যু। কাজে যোগ দেওয়ার ৩ দিন পর নার্সিংহোম থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। সিঙ্গুরের কাছে বড়া-তেলিয়া মোড়েরাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মৃত নার্সের মা-বাবা। তরুণীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। পরিবারের দাবি, ৩ দিন আগে সিঙ্গুরের শিবম সেবাসদন নার্সিংহোমে কাজে যোগ দেন ২৪ বছরের ওই নার্স। সহকর্মীর দাবি, গতকাল সন্ধেয় তরুণী কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে গেছিলেন। পরে সহকর্মীরা তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। এরপর রাতে নার্সিংহোমের চারতলায় নিজের ঘরে ওই নার্সকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে সহকর্মীর দাবি।

নার্সের পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের অসুস্থতার কথা জানিয়ে আসতে বলা হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তার আগেই ওই নার্সকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পান মা-বাবা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। মৃতার বাবা বলেন, "মেয়ে এখানে নার্সের কাজ করত। তিন দিন কাজ করেছে। আমার মেয়েকে খুব করা হয়েছে। তদন্ত চাই। নার্সিংহোম মালিকের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ। সাজা চাই।'' প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, নার্সিংহোম থেকে নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নার্সকে উদ্ধার করে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। 

হেলমেট না পরা বাইক আরোহীকে ধরায় চুঁচুড়া হাসপাতালের সামনে মার খেতে হল পুলিশকে। রাস্তার ওপরেই পুলিশকে মারধর, পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধেই দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। এই ঘটনায় ১ মহিলা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাইরাল ছবি। শুক্রবার সকালে চুঁচুড়া হাসপাতাল রোডে হেলমেটবিহীন বাইক আরোহীকে আটকায় পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবককে চড় মারেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। এরপর ওই যুবক তাঁর সঙ্গীদের ডেকে এনে পুলিশের ওপর চড়াও হন। রাস্তায় ফেলে মারা হয় পুলিশ কর্মীকে। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে মারধর, পাল্টা পুলিশের দুর্ব্যবহারে প্রশ্নের মুখে আইন শৃঙ্খলা।