সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের পক্ষ থেকে একাধিক বদল আনা হচ্ছে পরপর। শিক্ষার্থীদের সুবিধের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে চালু করা হবে ওপেন বুক এক্সাম প্রক্রিয়া। আবার সম্প্রতি বলা হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির লিগাল স্টাডিজের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হবে দুটি বিতর্কিত বিষয়- তিন তালাক ও ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ নং ধারা। এছাড়াও বোর্ডের পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে তিনটির বেশি বিষয়ে কোনও বছরে অকৃতকার্য হলে তার পরের বছর আর সেই পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। অর্থাৎ এক বছর বাতিল হবে সময়। আর কী কি বদল আনছে সিবিএসই ?
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে ওপেন বুক এক্সাম চালু করা হবে। অর্থাৎ পরীক্ষা দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা এবার থেকে মুখস্থ করার বদলে পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে পাঠ্যপুস্তক, ক্লাস নোটস বা অন্যান্য নির্দিষ্ট স্টাডি মেটেরিয়াল ব্যবহার করতে পারবে, এগুলির সাহায্য নিতে পারবে। এই ওপেন বুক এক্সামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ধারণা কত মজবুত তা পরীক্ষা করে দেখা হবে মূলত, তথ্য একত্রিত করে তা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারছে কিনা শিক্ষার্থীরা তা দেখা হবে খতিয়ে।
মনে রাখতে হবে ২০১৪ সালে প্রথম সিবিএসই এই ওপেন বুক এক্সাম মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালু করেছিল, কিন্তু ২০১৭ নাগাদ এসে এই প্রক্রিয়া ফের তুলে নেওয়া হয় উদ্দেশ্য পূরণের ব্যর্থতার কারণে। এখন আবার নতুন করে এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া সিবিএসই-র পক্ষ থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠক্রমে মূলত লিগাল স্টাডিজের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তিন তালাক ও ৩৭৭ নং ধারার বিষয়টি। তিন তালাক বাতিল, সমকামিতা অপরাধ বলে গণ্য করা ৩৭৭ নং আইনের ধারা বাতিল এবার পড়ানো হবে শিক্ষার্থীদের। ২০২০ সালের নয়া শিক্ষানীতির অধীনে এই বদল আনা হবে এবং তদনুসারে নতুন পাঠ্যবইও দেওয়া হবে সিবিএসইর তরফে।
২০১৩ সালে প্রথম সিবিএসইর একাদশ শ্রেণিতে আনা হয় লিগাল স্টাডিজ বিষয়টি আর ২০১৪ সালে তা চালু হয় দ্বাদশ শ্রেণিতে। তারপর থেকেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই বিষয়টি। ২০২২-২৩ সালে এই বিষয়ে বড় বদল আনা হয়। পাঠক্রমে যুক্ত হয় POSH আইন, তথ্য জানার অধিকার আইন, ভোক্তা সুরক্ষা আইন, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস অ্যাক্ট ইত্যাদি।
তিনটির বেশি বিষয়ে কোনও পরীক্ষায় কোনও শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলে তাঁকে আর পরের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছে সিবিএসই। এই ধরনের শিক্ষার্থীদের ‘রিকোয়ার্ড রিপিটেশন’ বিভাগে রাখা হবে। পরের বছর আবার তারা অকৃতকার্য হওয়া বিষয়ের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। যারা কম্পার্টমেন্টাল ক্যাটাগরিতে থাকবেন, তারা আরও একবার কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI