চণ্ডীতলা (হুগলি) : আরজি কর-কাণ্ডে দিকে দিকে প্রতিবাদ, এবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় সিপিএম। 'সিপিএম পার্টির যে লোকেরা থাকেন, তাঁদের দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও ইনভলভমেন্ট নেই। তাঁরা দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইবেই।' আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদেরও ফের আক্রমণে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। 'মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে... দূরে দাঁড়িয়ে থেকে বিপ্লব আন্দোলন হয় না। থ্রেট করে সরকারকে ভয় দেখিয়ে কখনো সরকার সরানো যায় না।' হুগলির চণ্ডীতলার সভা থেকে এমনই হুঙ্কার দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


তিনি বলেন, "বিচারের নামে দুর্গাপুজো বন্ধ করে দিয়ে গরিব মানুষের পেটে লাথি মারার বিচার...এ বিচার আমরা চাই না। এটা অবিচার। সেই বর্ণবিদ্বেষী... সিপিএম পার্টির যে লোকেরা থাকেন, তাঁদের দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও ইনভলভমেন্ট নেই। তাঁরা দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইবেই। মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে... দূরে দাঁড়িয়ে থেকে বিপ্লব আন্দোলন হয় না। মানুষ যেদিন জাগ্রত হবে...মানুষের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন ...মানুষের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য যে আন্দোলন...সে আন্দোলন কখনো সার্থকতায় রূপান্তরিত হতে পারে না। এটা অসম্ভব ব্যাপার। গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে...গরিব মানুষকে না চিকিৎসা দিয়ে ...গরিব মানুষের বাচ্চারা মারা যাবে...পরিষেবা দেবেন না...ডাক্তারি ট্রিটমেন্ট দেবেন না...হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট দেবেন না ...নিজস্ব দাবি-অধিকার নিয়ে রাস্তায় বসে থাকবেন এটা হতে পারে না। থ্রেট করে সরকারকে ভয় দেখিয়ে কখনো সরকার সরানো যায় না। গান গেয়ে হয় না। জেএনইউর কালচার পশ্চিমবঙ্গে হয় না। যারা বলেছিল, এ আজাদি ঝুটা হ্যায়...আজ তারা বলছে আজাদি চাই...আজাদি চাই।"


প্রসঙ্গত, আগের দিনই জুনিয়র ডাক্তারদের পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্তকে তোপ দাগেন কল্যাণ। 'বাংলাকে শোকস্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, জবাব দিয়ে দুর্গা পুজো হবে', পুজোর সময় জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান কল্যাণ।


ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে লঙঘন করার অভিযোগ কল্যাণের। তিনি বলেন, 'কেউ চাপ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে তাদের রাস্তায় আনতে পারবে বলে মনে হয় না। ওরা ঘোমটার আড়ালে রাজনীতি করছে, সিপিএম-ডিএসওর লোক আছে। বিচার আমরাও চাই, কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতি অবিচার করে, বিচার হয় না। হাসপাতালে লাইভ স্ট্রিমিং করুক, মানুষ দেখুক ডাক্তাররা কী করছে। দুর্গাপুজো বন্ধ করে রোজগার বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কর্মবিরতি, না কাজ করা, কতটা অধিকারের ব্যাপার, সে নিয়ে প্রশ্ন আছে।' তিনি আরও বলেন, 'যারা বলেছিল দুর্গাপুজা করতে হবে না তারা তো ফিতে কাটতে চলে গেছে। কলকাতায় যারা আছে তারা আনন্দ ফুর্তি করবে না! শোকস্তব্ধ হয়ে থাকবে?', আন্দোলন সামিল হওয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও কটাক্ষ কল্যাণের।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।