সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডানকুনি : SSC দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় হুগলির (Hooghly) দুই তৃণমূল নেতা। নাম করে সরাসরি তাঁদের দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও প্রমাণ দেখাক বলে পাল্টা দাবি জানিয়েছে অভিযুক্তরা।
রাশি রাশি টাকা, কেজি কেজি সোনা। কলকাতা থেকে জেলা, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। কোম্পানি সংক্রান্ত নথি। গত কয়েক দিন ধরে এই দৃশ্য দেখতে দেখতে চোখ ধাঁধিয়ে গেছে বঙ্গবাসীর। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই ঘটনায় এবার হুগলির একাধিক তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে, শাসকদলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার ডানকুনিতে ছিল বিজেপির কর্মিসভা। সেখান থেকেই জেলার ২ তৃণমূল নেতা মানস মজুমদার ও শান্তনুর নাম ধরে আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর তাঁর অপা, একাধিক অপা আছে। আর কালেক্টর অনেকে ছিলেন। যেমন- এই জেলায় মানস মজুমদার কালেক্টর, শান্তনু কালেক্টর বলাগড়ের। এরকম বহু কালেক্টর আছে। চোর পার্থর কালেক্টর।
কী বলছেন অভিযুক্তরা ?
তাঁর এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি তিনি গোঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করলেন ? আর এ নিয়ে এবার শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন ; ‘আমার কোনও টাকা নেই, সময় এলেই বুঝবেন কে ষড়যন্ত্র করছে’, বিস্ফোরক দাবি পার্থর
যদিও গোঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেছেন, কোন মানস মজুমদার ? তাঁর ডেজিগনেশন কী ? জেলায় প্রচুর মানস মজুমদার আছে। উনি ED সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকেছেন। ওঁর জন্য বলতে আমার কিছু রুচি নেই। মমতার থেকে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে, মমতাকেই ছুরি মেরেছেন।
রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, যাঁদের আমরা সবাই দেখেছি টাকা নিতে, তাঁদের কথার জবাব দেওয়ার ইচ্ছা নেই। সত্ সাহস থাকলে, নাম ডেজিগনেশন নিয়ে বলুন। সঠিক জায়গায় গিয়ে জবাব দিয়ে আসব। চোরের কথার জবাব দিতে বাধ্য নই।
সব মিলিয়ে, দুর্নীতি ইস্যুতে চড়ছে রাজনীতির পারদ।