কলকাতা : জোকা ESI-তে ফের বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আমার কোনও টাকা নেই। সময় এলেই বুঝবেন কে ষড়যন্ত্র করছে। এদিন হাসপাতালে ঢোকার মুখে এমনটাই মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পর, আজ মেডিক্যাল টেস্টের জন্য জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডি-র তরফে ছিল কড়া নিরাপত্তা। মেডিক্যাল টেস্টের পর সিজিও কমপ্লেক্সে ফিরিয়ে এনে পার্থ-অর্পিতাকে ফের জেরা করার সম্ভাবনা ইডি-র।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন সাংবাদিকের তরফে প্রশ্ন করা হয় যে, কে ষড়যন্ত্র করছে? উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'সময় এলেই বুঝবেন'। টাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হতেই তিনি বলেন, 'আমার কোনও টাকা নেই'।
এদিকে, পার্থ-অর্পিতার একাধিক অ্যাকাউন্ট এর মধ্যেই ফ্রিজ করেছে ইডি। সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৮ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এই টাকার বৈধ উৎস রয়েছে কিনা, কাগজপত্র-নথিপত্রও জানতে চায় ইডি। সেটাই খতিয়ে দেখা হবে। সূত্রের খবর, এদিনের বিষয়টি আদালতে জানাতে চলেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন, আজ ফের পার্থ-অর্পিতা-র মেডিক্যাল টেস্ট
এদিনের মেডিক্যাল পরীক্ষার পর এই বিষয় নিয়েই জেরা করা হবে দুজনকে। পাশাপাশি ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টগুলি ছাড়া তাঁদের আর কোনও গোপন অ্যাকাউন্ট রয়েছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হবে। সূত্রের খবর, লেনদেনের বেশ কিছু তথ্য় এর মধ্যেই ব্যাঙ্কের সূত্রে পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে এই ৮ কোটি টাকার হিসেব যাতে পার্থ-অর্পিতা দিতে পারেন, সেটা আজ জানতে চাওয়া হবে। নগদ ও অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে এত টাকা কীসের জন্য ছিল, সেটিও জানার চেষ্টা হবে। জেরায় কালো টাকার প্রসঙ্গও উঠতে পারে বলে খবর।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট ও বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাট মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছেন ইডির আধিকারিকরা। মিলেছে বিপুল গয়না। একাধিক জমির দলিল-সহ বেশ কয়েকটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার নামও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। মিলেছে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশও। সূত্রের খবর, এই টাকার উৎস এখনও স্পষ্ট নয়। সব মিলিয়ে যত দিন গড়াচ্ছে ততই গভীরে পৌঁছচ্ছে দুর্নীতি তদন্তের জাল। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যে এদিনের নতুন বিস্ফোরক তথ্য।