পার্থপ্রতিম ঘোষ, হুগলি, কোন্নগর : হুগলির কোন্নগরে শাসক নেতা খুনে গ্রেফতার আরও ১। এবার গ্রেফতার হুগলির কুখ্যাত গ্যাংস্টার ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘা। এই ঘটনায় আগেই পাকড়াও হয়েছিল বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশাল। এই বিশা এবং বাঘা দু'জনই খুনের ঘটনার মাস্টার মাইন্ড, খবর পুলিশ সূত্রে। পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। ধৃত বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল নিহতের, খবর পুলিশ সূত্রে। গত ৩০ জুলাই, হুগলির কোন্নগরের তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। নিজের গ্যাসের অফিসের সামনেই আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতা। কুপিয়ে খুন করা হয় কোন্নগর কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্নাকে। 

হুগলির কুখ্যাত গ্যাংস্টার গ্রেফতার হওয়া ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘা। অপরাধের ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগে পাকড়াও হওয়া বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা হচ্ছে এই ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘার ভাই। দুই ভাই মিলেই পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রে। জানা গিয়েছে, এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব ছিল শাসক দলের নেতা পিন্টু চক্রবর্তীর। তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে পারলে গোটা এলাকা জুড়ে রাজ করতে পারবে বিশা ও বাঘা এই দুই ভাই, দাপট দেখাতে পারবে। অনুমান, ক্ষমতা দখলের এই লড়াইয় এবং জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই সুপারি দিয়ে পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের ছক কষেছিল ভোলানাথ এবং বিশ্বনাথ - এই দুই ভাই। 

এই খুনের ঘটনায় এর আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আটক করা হয়েছিল আরও বেশ কয়েকজনকে। তাদের মধ্যেই ছিল এই বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা। এই বিশা এবং বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে ভোলানাথের নাম। তাকেও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হুগলির কোন্নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। গ্রেফতার হওয়া চারজন এবং বাকি ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। 

রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে পিন্টু চক্রবর্তীকে। রেইকি করে তৈরি হয়েছিল খুনের ব্লুপ্রিন্ট। তৃণমূল নেতা কখন বেরোন, কোন রাস্তা ফাঁকা থাকে সবদিকেই নজর রাখা হয়েছিল। আগে থেকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় কোন্নগরের তৃণমূল নেতাকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত খুনের দিন এবং তার আগের দিনও এলাকাতেই ছিল আততায়ীরা।