সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: শাসকদল প্রভাবিত দুই টোটো ইউনিয়নের মধ্যে দ্বন্দ্ব (Hooghly News)। তাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গত তিন দিন ধরে উত্তরপাড়া-ধাড়সা-বালিখাল রুটের টোটো পরিষেবা ব্যাহত। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে যদিও INTTUC। কিন্তু তোলাবাজি এবং ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্বেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বলে দাবি বিজেপি-র। 


আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে INTTUC


বর্ষ শেষে উৎসবের আমেজ যখন চারিদিকে, সেই সময় চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বালি খাল এলাকার মানুষ জনকে। উত্তরপাড়া কলেজ স্ট্যান্ড থেকে বালিঘাট স্টেশন পৌঁছতে অনেকটা রাস্তা এখন হেঁটে পেরোতে হচ্ছে সকলকে। রেহাই পাচ্ছেন না প্রবীণ, বয়স্করাও। তাতে এলাকার মানুষ জনের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। 


এক দিকে, হুগলির উত্তরপাড়া, অন্য দিকে, হাওড়ার বালি। দুই জেলার মধ্যে সেতুবন্ধন করেছে বালিখাল। যাতায়াতের করতে উত্তরপাড়া-ধাড়সা-বালিখাল রুটের টোটো ব্যবহার করেন এলাকার মানুষ জন। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত দুই টোটো ইউনিয়নের মধ্যে বিবাদের জেরে গত তিন দিন ধরে ব্যাহত ওই রুটের টোটো পরিষেবা। 


আরও পড়ুন: Birbhum News: অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে আলগা হচ্ছে রাশ! বীরভূমে তৃণমূল ছাড়লেন কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ, বিজেপি-তে যাওয়া নিয়ে জল্পনা


ওই টোটো চালকদের দাবি, এই মুহূর্তে উত্তরপাড়া-ধাড়সা-বালিখাল রুটে টোটো চলাচল করে ২৬৯টি। অভিযোগ, ২০টি নতুন টোটোকে লাইনে ঢোকানো নিয়ে বিবাদ চলছে। দ্বন্দ্ব চলছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র অধীনে থাকা উত্তরপাড়া টোটো অ্যাসোসিয়েশন এবং বালিখাল টোটো ইউনিয়নের মধ্যে।  যাত্রী নিয়ে বালি খা টপকালেই হেনস্থা, গালিগালাজ এমনকি মারধরও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। 


বিষয়টি নিয়ে উত্তরপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর তাপস মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, বালিতে উত্তরপাড়ার টোটো চালকদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। গোটা ঘটনা বালি থানাকে জানানো হলেও, কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা।


এই বিষয় হাওড়া জেলার INTTUC-র জেলা সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার বলেন, "নতুন টোটো রাস্তায় নামানোর কোনও ব্যাপার নেই। বালির যে টোটোগুলি রিজার্ভ করে উত্তর পাড়ার দিকে যাবে, ফেরার সময় যাত্রী নিয়ে আসতে দিতে হবে তাদের  এই নিয়েই মূল সমস্যা। দুই পক্ষকে নিয়ে আগেই আলোচনায় বসেছিলাম আমি। আবারও বসব। দুই-একদিনের মধ্যে আশাকরি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।" 


এই গন্ডগোল নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি


শাসক দল প্রভাবিত টোটো ইউনিয়নের এই গন্ডগোল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত। তিনি বলেন, "রাজ্যে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। টোট, রিকশা চালানোই একমাত্র উপার্জনের রাস্তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁদের কাছে। নতুন টোটো নামানো থেকে, রাস্তায় নামানো, সবেতেই তোলা দিতে হয় তৃণমূল নেতাদের। এই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ এবং নিত্যযাত্রীরা।"