নয়াদিল্লি: বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যাই যাই করে বিদায় নেওয়ার নাম নেই। বরং শক্তি বাড়িয়ে, নতুন রূপে প্রত্যেক বার ফিরে আসছে নোভেল করোনাভাইরাস (Novel Coronavirus)। তার বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেওয়া ছাড়া গতি নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মতো নেজাল ভ্যাকসিনে (COVID Nasal Vaccine) অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নেজাল ভ্যাকসিন নাকি ইঞ্জেকশন মারফত প্রয়োগ করা টিকা, কোনটি আদর্শ, তা নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। দুই টিকার মধ্যে ঠিক কী ফারাক জেনে নিন বিশদে।


নেজাল ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার


এই মুহূর্তে বাজারে করোনা প্রতিরোধী যে সমস্ত টিকা রয়েছে, সেগুলি মূলত সংক্রমণের তীব্রতা হ্রাস করে। হালকা অসুস্থতা বা সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া আটকানোয় কার্যকর নয় সেগুলি। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয় পেশিতে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে সংক্রমিত কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়।  তাতে টি-সেল ভাইরাস চিনে বি-সেলকে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে। এই রোগের একটা স্মৃতি তৈরি হয় বি সেলের, যাতে ভবিষ্যতে এই ভাইরাস ফের আক্রমণ করলে অনেক দ্রুত লড়াই শুরু করা যায়।


এই অ্যান্টিবডি রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু নাক এবং ফুসফুসের উচ্চতায় উঠতায় পৌঁছয়ে পারে না তারা। এখানেই নেজাল ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অনেক বেশি বলে মত বিজ্ঞানীদের। তাঁদের দাবি, নেজাল ভ্যাকসিন গোটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনই নাকের মিউকোসাল আস্তরণ এবং শ্বাসনালিতেও রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। তবে নাকে নেজাল ভ্যাকসিনের যৌগের অস্তিত্ব দীর্ঘ মেয়াদি হতে হবে।


আরও পড়ুন: COVID Nasal vaccine: বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে, নেজাল ভ্যাকসিনের দাম বেঁধে দিল কেন্দ্র


নোভেল করোনাভাইরাসকে ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্বে। পড়শি দেশ চিনে কার্যত সংক্রমণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তার আঁচ এসে পৌঁছেছে ভারতেও। সেই আবহেই সম্প্রতি নেজাল ভ্যাকসিনকে কোভিড চিকিৎসার অন্তর্ভুক্তিতে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রানেসাল কোভিড টিকা-iNCOVACC-কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নাকের মধ্যে ফোঁটার আকারে প্রয়োগ করা হবে টিকা।


বুস্টার ডোজ হিসেবে নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে


বুস্টার ডোজ হিসেবে এই নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। আপাতত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মিলছে এই নেজাল ভ্যাকসিন। আগের দুই টিকা নেওয়া থাকলেই নেওয়া যাবে এই বুস্টার ডোজ। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স যাঁরা, আগে দুই টিকা নিয়েছেন, তাঁরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন এই নেজাল ভ্যাকসিন। সরকারের কোউইন অ্যাপেও তার জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। জিএসটি ছাড়া দাম পড়বে ৮০০ টাকা, জিএসটি দিয়ে ১০০০ টাকার মতো।