সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: প্রতারণা যেন থামছেই না। ফের ডিপফেক ভিডিওর (Deepfake Video) ফাঁদে পড়েলন বাংলারই এক তরুণী। ভয় দেখিয়ে সাইবার প্রতারনার (Cyber Crime) শিকার হুগলি (Hooghly) মানকুন্ডুর তরুনী! টাকা দিয়েও মেলেনি রেহাই। ফোনে লাগাতার হুমকি আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণী। দায়ের করা হয় অভিযোগ।
ঠিক কী হয়েছিল? তরুণীর এক সহকর্মী জানিয়েছেন, গত রবিবার মোবাইলে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ (Worldcup Final) দেখছিলেন তরুণী। তখনই ঘটনাটি ঘটে। হঠাৎই একটি ফ্ল্যাশ মেসেজ ভেসে ওঠে মোবাইল স্ক্রিনে। কৌতূহলবশত সেটা খুলতেই বিপত্তি হয়! অটোমেটিক একটি অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে যায় তরুণীর মোবাইল ফোনে। এর পর অ্যাকসেস নোটিফিকেশনে নিজের মোবাইল নম্বরও দিয়ে ফেলেন তরুণী। এর পর হঠাৎ করেই তাঁর অ্যাকাউন্টে ১১ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় লোন হিসাবে। গোল বাঁধে এরপরেই।
দু-দিন পর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন। টাকার জন্য চাপও দেওয়া হয় তরুণীকে। টাকা না দিলে ডিপফেক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় প্রতারকদের তরফে। এমনকী তরুণীর কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা অনেককেই ডিপফেক ছবি পাঠাতে শুরু করে দেয় প্রতারকরা।
এতেই স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়ে যান তরুণী। খেসারত হিসেবে প্রতারকদের কথা মতো ১৯ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠিয়েও দেন। হ্যাকাররা বুঝে যায় ভয়ে কাজ হয়েছে। এর পর লাগাতার টাকা চেয়ে ফোন আসতে থাকে। প্রতারণার ফাঁদে কার্যতে অবসাদে চলে যান তরুণী।
এর পর ভদ্রেশ্বর থানায় (Bhadreswar Police Station) অভিযোগ দায়ের করা করেন ওই তরুণী। সেখান থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খব,র ফ্ল্যাশ মেসেজের মাধ্যমেই ফোনে ক্লোনিং অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে গিয়েছিল। এরপর নম্বর দিয়ে লগইন করায় সমস্ত অ্যাকসেস চলে যায় প্রতারকদের কাছে। তারপরেই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়। কাজেই এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। হঠাৎ আসা কোনও মেসেজ বা লিঙ্কে ক্লিক করতেও নিষেধ করা হয়েছে।