সোমনাথ মিত্র, হুগলি: ফের রাজ্যে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার (Drug Trafficking Case)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গাঁজা ভর্তি চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের সিঙ্গুর থানা। গাঁজা পাচারের অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ধৃতদের বাড়ি ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। 


ওড়িশা থেকে রাজ্যে পৌঁছতেই মাদক পাচারের পর্দাফাঁস


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সিঙ্গুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও এলাকায় একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায়  দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। কথার অসংগতি তে চাপে পড়ে যায় গাড়িতে থাকা তিনজন। তখন ই পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি করা শুরু করে। এবং গাড়ির সিটের ভিতর থেকে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার হয়। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা। ঘটনায় গাড়িতে থাকা তিন জনকেই গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। 


গাঁজাপাচার করা গাড়িটি কোথাকার ?


হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি আফজল আবরার  জানান, পাচারকারীরা ওড়িশার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল‌। এবং চন্দননগরে কোনও এক ব্যক্তিকে তা সরবরাহ করার কথা ছিল। পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে  আসছিল যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া ,শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে ঢোকে তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দাফাঁস হয়।


পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি বঙ্গে


গাঁজা পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকায়। গ্ৰেফতার হওয়া তিনজন এত পরিমাণ গাঁজা কাদের সরবরাহ করতো এবং এই চক্রের সাথে আর কারা কারা যুক্ত আছে ? তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে যে গাড়িটি করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল সেই গাড়িটি কোথাকার ? তার মালিককে তাও খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন, কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, CBI তদন্তের দাবি সুকান্তর 


সম্প্রতি, শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অভিযানে মিলেছিল সাফল্য। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং মাটিগাড়া থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার চাঁদমণি চা বাগানের সংলগ্ন এলাকায় স্পেশাল অপারেশন পুলিশের অভিযানে (Police Raid) গ্রেফতার হয়েছিল তিনজন।